প্রতীকী চিত্র।
২৪ ঘণ্টাও পার হয়নি। তার মধ্যেই চার বার কেঁপে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর। প্রথম ভূমিকম্পটি হয় মঙ্গলবার দুপুরে। দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৪। তার পর মঙ্গলবার মাঝরাতে ২টো ২০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের উৎসস্থল জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায়। বুধবার সকালেও পর পর দু’বার ভূমিকম্প হয় জম্মু ও কাশ্মীরে।
বুধবার সকাল ৭টা ৫৬ মিনিট নাগাদ আবার কেঁপে ওঠে জম্মু ও কাশ্মীর। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ৩.৫। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। আধ ঘণ্টার বিরতির মধ্যেই চতুর্থ কম্পন হয়। সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে আবার ভূমিকম্প হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ৩.৩। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের উৎসস্থল কিশতওয়ারের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে।
মঙ্গলবার দুপুরেই কেঁপে উঠেছিল দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। দিল্লি ছাড়াও এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল পঞ্জাব, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরেও। দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলার গান্ডো ভালেসা গ্রামে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। শুধু ভারত নয়, এই কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তান এবং চিনেও।
স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে জম্মু ও কাশ্মীরে আহত হয়েছেন চার জন। ফাটল দেখা দিয়েছে বহু ঘরবাড়িতেও। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে ভারতে মোট ৪১ বার ভূমিকম্প হয়েছে। তার মধ্যে উত্তরাখণ্ডে ৭ বার, মণিপুরে ৬ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশে ৫ বার, মেঘালয় এবং হরিয়ানায় ৩ বার ভূমিকম্প হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy