নির্মীয়মাণ দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে। ছবি: টুইটার।
বরাদ্দ খরচের তুলনায় ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গিয়েছে ১৪ গুণ বেশি টাকা। অথচ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও জাতীয় সড়কের কাজ এখনও শেষ হয়নি। সরকারি হিসাব পরীক্ষক সংস্থা ক্যাগের রিপোর্টে এই পরিসংখ্যান উঠে আসার পরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
দিল্লির দ্বারকা থেকে হরিয়ানার গুরগাঁও পর্যন্ত ২৭.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বারকা এক্সপ্রেসের কাজ চলছে। ২৪৮-বিবি জাতীয় সড়ক নামেও পরিচিত দ্বারকা এক্সপ্রেস তৈরি হলে দিল্লি এবং হরিয়ানার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট কমবে বলে আশা করছে প্রশাসন।
দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ করার জন্য ৫,৩৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি (সিসিইএ)। কিন্তু ৩১ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৩৯ শতাংশ রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৮,৪৬,৫৩৮ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। যেখানে প্রতি কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ১৮.২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেখানে ওই পরিমাণ রাস্তা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২৫০.৭৭ কোটি টাকা। ক্যাগের রিপোর্টে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে আট লেনের একটি সড়ক হবে। কিন্তু ক্যাগের ওই রিপোর্টেই বলা হচ্ছে, যে সড়ক দিয়ে প্রতি দিন মাত্র ৫৫,৪৩২টি গাড়ি যাওয়ার কথা, সেই রাস্তা কেন আট লেনের হবে, তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। ২ লক্ষের বেশি যাত্রিবাহী গাড়ি কোনও জাতীয় সড়ক দিয়ে গেলে, সেই রাস্তাকে ছয় লেন বিশিষ্ট করার অনুমতি দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের ভারতমালা পরিযোজনা প্রকল্পের আওতায় এই জাতীয় সড়ক তৈরির কাজ শুরু হয়। তবে শুধু যমুনা এক্সপ্রেসওয়েই নয়, সামগ্রিক ভাবে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা একাধিক কাজে দেখা গিয়েছে বরাদ্দ টাকার তুলনায় ৫২ শতাংশ বেশি টাকা খরচ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy