চুংথাম বাঁধ ভাঙার জন্য আগের সরকারকেই দায়ী করেছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল। আর সে কারণেই তিস্তায় হড়পা বানের ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি চুংথাম বাঁধ। ভেসে গিয়েছে জলের তোড়ে। এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “বাঁধটি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গিয়েছে। আর এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে পাহাড়ের নীচের দিকে বসতি এলাকায় ভয়ানক বিপর্যয় নেমে এসেছে।” তিনি আরও বলেছেন, “মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছিল। আর সে কারণে লোনক হ্রদ ফেটে গিয়েছে। বিপুল জলরাশি তিস্তায় নেমে এসেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে সেই জলের চাপ ধরে রাখতে পারেনি বাঁধ। আর সে কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়েছে দক্ষিণ সিকিমে।” বাঁধে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের জন্য আগের সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, চুংথাম বাঁধের আশপাশের এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। তবে দক্ষিণ সিকিমে কী পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণটা জানা যায়নি। দক্ষিণ সিকিম পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। রাস্তা, সেতু সব ভেসে গিয়েছে তিস্তার জলে। তিস্তার উপরে থাকা ১৩টি সেতু নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, “কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তাঁর সরকার। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া, উদ্ধারকাজ জোরকদমে চলছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তবে শুক্রবার আবহাওয়ার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আর সেই সঙ্গে উদ্ধারকাজেও গতি আনা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আটকে থাকা ৩ হাজার পর্যটককে উদ্ধারই আমাদের এখন প্রথম লক্ষ্য। আমরা একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করব। তাঁরা যে ভাবে তথ্য দেবে, সে ভাবেই কাজ এগোবে।” তবে এটি বিশাল বিপর্যয় বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চুংথামের এই বাঁধটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের অন্তর্গত। ১২০০ মেগাওয়াটের প্রকল্প এটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy