শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ফাইল চিত্র।
নার্সিং পড়ুয়াদের পাঠ্য বইয়ের একটি অধ্যায়ে লেখা রয়েছে পণপ্রথার সুফল নিয়ে। একটি নয়, তালিকায় পর পর বেশ কয়েকটি ‘সুফল’ লেখা। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার দিতে পণপ্রথা সাহায্য করে’। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে হইচই শুরু হয়েছিল। এ বার মাঠে নেমেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা আজ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দ্বারস্থ হয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তিনি লিখিত ভাবে আর্জি জানিয়েছেন যে, অবিলম্বে যেন এ বিষয়ে দ্রুত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সমাজবিদ্যার যে বইটি নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক, তার লেখিকা টিকে ইন্দ্রাণী। যে দেশে পণের জন্য অত্যাচারিত হয়ে নিয়মিত হাজার হাজার মেয়েকে খুন হতে হয় বা তাঁদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য করা হয়, সেখানে একটি পাঠ্যক্রমে এই ধরনের বইকে কী ভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হল, সে প্রশ্ন উঠছে। সমাজমাধ্যমেও নেটনাগরিকদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে সরব। অনেকেই এ নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলও। আজই প্রকাশনা সংস্থা ও লেখিকা ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। কাউন্সিলের বক্তব্য, পণপ্রথা ভারতে আইনত নিষিদ্ধ। আর লেখিকা সেটিরই পক্ষে প্রচার চালিয়ে ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। বিতর্কিত এই বইটি কাউন্সিলের অনুমোদিত বলে প্রকাশনা সংস্থা দাবি করলেও তারা তা আদৌ করেনি বলেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল। জাতীয় মহিলা কমিশন আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর এবং তারা এটিকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। শিক্ষামন্ত্রীকে কমিশন প্রধান লিখেছেন, ‘‘এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পণের মতো একটা ভয়ঙ্কর প্রথা নিয়ে অত্যন্ত ভুল বার্তা যাচ্ছে।’’
শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণকেও চিঠি দিয়েছেন রেখা শর্মা। এ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তা এক সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে যেন জানানো হয়, এই মর্মে স্বাস্থ্যসচিবকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy