তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। এ কথা বাড়ির লোকেরা জানতেন না। তাঁর এই অসুস্থতার কথা জানতে পারলে স্ত্রী এবং দুই পুত্র বিচলিত হবেন, তাই কাউকে কোনও দিন জানাননি। নিজেই গোপনে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু বিপুল অর্থ ব্যয় হওয়ায় আর টানতে পারছিলেন না। সুইসাইড নোটে এমনই উল্লেখ করে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের প্রোমোটার কুলদীপ ত্যাগী। স্ত্রী অংশু ত্যাগীকে খুন করার পর আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, কুলদীপের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে আত্মহত্যার কারণ, কেনই বা স্ত্রীকে মেরে আত্মঘাতী হলেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়ে গিয়েছেন। চিঠিতে লেখা, ‘‘আমি ক্যানসার আক্রান্ত। স্ত্রী, ছেলেরা এ কথা জানে না। আমি বাঁচব কি না নিশ্চয়তা নেই। অনেক খরচ হয়েছে। পারছিলাম না। আর টাকা খরচ করে লাভ নেই। তাই এই পথ বেছে নিলাম।’’ কিন্তু কেন স্ত্রীকে খুন করলেন? সে প্রসঙ্গেও চিঠিতে উল্লেখ করে গিয়েছেন কুলদীপ।
আরও পড়ুন:
তিনি লিখেছেন, ‘‘স্ত্রীকে আমার সঙ্গেই নিয়ে গেলাম। কারণ, ও প্রতিজ্ঞা করেছিল সারা জীবন একসঙ্গেই থাকব। এই পথ বেছে নেওয়ায় কারও কোনও হাত নেই। সম্পূর্ণ আমার সিদ্ধান্ত।’’ পুলিশ জানিয়েছে, নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল থেকে মাথায় গুলি করেন কুলদীপ। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ ছেলেরা শুতে চলে গেলে তার পরই গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হন কুলদীপ। প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করেন। তার পর গুলি চালান নিজের মাথায়। গুলির আওয়াজ শুনে ছেলেরা ছুটে এসে দেখে, তাদের কুলদীপ মেঝেতে পড়ে আর অংশু বিছানায় পড়ে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ আধিকারিক পুনম মিশ্র জানিয়েছেন, কুলদীপের ঘর থেকে একটি পিস্তল, সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করেন, তার পর আত্মঘাতী হন কুলদীপ। তিনি যে ক্যানসার আক্রান্ত সেটা বাড়ির কেউ জানতেন না। এই রোগের চিকিৎসার জন্য টাকা খরচ করতেও চান না বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। তবে আসল ঘটনাটি ঠিক কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।