গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
করোনা মোকাবিলায় গড়ে তোলা ‘প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্টেন্স অ্যান্ড রিলিফ ইন ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনস ফান্ড’ বা পিএম কেয়ার্স তহবিলে মাত্র পাঁচ দিনেই জমা পড়েছে ৩০৭৬ কোটি টাকা। এই তথ্য আজ প্রকাশ্যে আনা হলেও দাতাদের নাম জানানো হয়নি। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম দাবি তুলেছেন, এই টাকা কোথা থেকে এল, তা জানাতে হবে। তাঁর যুক্তি, দান একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক ছাড়িয়ে গেলে প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিংবা ট্রাস্টকে দাতাদের সম্পর্কে তথ্য হাজির করতে হয়। তা হলে পিএম কেয়ার্স ব্যতিক্রম কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। টুইটারে চিদম্বরমের মন্তব্য, ‘‘(পিএম কেয়ার্স থেকে) কারা দান গ্রহণ করবেন, তা জানা আছে। ট্রাস্টিদের পরিচয়ও সকলে জানে। তা হলে ট্রাস্টিরা দাতাদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন কেন?’’
পিএম কেয়ার্স তহবিল সম্পর্কে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়েছে। এর টাকা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পাঠানো কিংবা এই তহবিল সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য হাজির করানোর জন্য শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর চাপ রয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়িয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, করোনার জন্য তোলা পিএম কেয়ার্সের টাকা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। আর পিএম কেয়ার্সের লেনদেন সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য প্রকাশ্যে আনার আর্জি নিয়ে অন্য আদালতে মামলা হলেও কোর্ট এ ব্যাপারে সায় দেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে পিএম কেয়ার্সের ওয়েবসাইটে আজ ২০১৯-২০ আর্থিক বছরের তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, এই তহবিল গঠনের পরে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনে ৩০৭৬ কোটি ৬২ হাজার টাকা জমা পড়েছে। এর মধ্যে দেশের ভিতর থেকে সংগ্রহ হয়েছে ৩০৭৫ কোটি ৮৫ হাজার টাকা। ৩৯ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা এসেছে বিদেশ থেকে। জানানো হয়েছে, ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে তহবিল চালু হয়েছিল। সুদ মিলেছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। তবে এই তথ্য তুলে ধরা হলেও জানানো হয়নি কারা এই টাকা দিলেন।
গত জুন মাসে তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর পিএম কেয়ার্স তহবিল সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য দিতে অস্বীকার করে। বক্তব্য ছিল, এই তহবিল আরটিআই-এর আওতায় আসেনা। তবে পিএম কেয়ার্সের অডিট বিবৃতিতে সই করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকেরাই। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের যুগ্ম সচিব শ্রীকার কে পরদেশী, পিএম কেয়ার্স তহবিলের সেক্রেটারি হিসেবে এবং মোদীর ব্যক্তিগত সচিব হার্দিক শাহ তহবিলের ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে সই করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy