রাস্তায় কেউ কাউকে গুলি করে খুন করার পরেও বিহারের করিৎকর্মা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর কথায় কোনও রাখঢাক না রেখেই জানিয়ে দিলেন, এমন ঘটনা ঘটতেই পারে!
নীতীশ কুমারের কথায়, ‘‘এমন ঘটনা যে আবার ঘটবে না, কে তার গ্যারান্টি দিতে পারে?’’
যে ঘটনায় সমালোচনার ঝড় সামলাতে গিয়ে সাংবাদিকদের ঝোড়ো প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে কার্যত তাঁর অসহায়তাই প্রকাশ করে ফেলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, সেই ঘটনায় জড়িত তাঁর দলেরই এক বিধায়কের পুত্র রকি যাদব। রকির মা মনোরমা দেবী বিহার বিধানসভার বিধায়ক। গত শনিবারের ওই ঘটনার পর থেকেই রকি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ‘ফেরার’ হয়ে রয়েছেন।
৩০ বছর বয়সের রকির কাণ্ড এখন রীতিমতো রসালো কাহিনী হয়ে গোটা বিহারের মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে।
কী করেছিলেন রকি?
তিনি আর তাঁর দেহরক্ষী যে ‘রেঞ্জ রোভার’ গাড়িতে ছিলেন, রাস্তায় সেই গাড়িটিকে টপকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল আরেকটা গাড়ি। সেই গাড়িটা চালাচ্ছিলেন বিহারের এক শিল্পপতির পুত্র ১৯ বছর বয়সী আদিত্য। সদ্য তার দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তাই বন্ধুদের নিয়ে ‘মারুতি সুইফ্ট’ গাড়িতে চেপে কিছুটা ফূর্তি করতে বেরিয়েছিলেন আদিত্য।
আরও পড়ুন- কোটায় ফের আত্মঘাতী ছাত্র, জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব দাবি মনোবিদদের
ব্যস, ওইটুকুই যথেষ্ট! একটা অল্প বয়সের ছেলে তাঁর গাড়িকে টপকে বেরিয়ে যাবে রাস্তায়? একেবারে আঁতে লেগে গিয়েছিল বিধায়ক-পুত্রের। তাই প্রথমে তাঁর দেহরক্ষী শূন্যে গুলি ছুড়ে আদিত্যকে গাড়ি থামাতে বলেন। আদিত্য তার পরোয়া না করলে রকির দেহরক্ষী শূন্যে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে আদিত্যদের হুমকি দেন। তখন আদিত্যেরা গাড়ি থামালে তাঁদের ওপর চড়াও হন রকি ও তাঁর দেহরক্ষী। তাঁরা প্রথমে গালিগালাজ ও মারধোর করেন আদিত্য আর তাঁর বন্ধুদের। তার পর সরাসরি গুলি করেন আদিত্যকে। এর পর রকি পালিয়ে গেলেও, তাঁর দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রকির দেহরক্ষী জেরায় পুলিশকে জানিয়েছেন, রকি আসলে আদিত্যকে একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিল। তবে হঠাৎ করেই রকির রিভলভার থেকে গুলি ছিটকে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy