ঈশ্বরের ভরসায় পরিবার।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন একমাত্র ঈশ্বরই ভরসা! আর তার পর থেকেই অসুস্থ ছেলেকে সুস্থ করে তোলার জন্য এক মাস ধরে হনুমান মন্দিরের সামনে ধরনা দিয়েছেন এক ব্যক্তি। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের রাজগড়ের খেড়ী গ্রামের বাসিন্দা বলবন্ত সোধিয়া এখন তাই ছেলেকে বাঁচাতে ঈশ্বরেই ভরসা করছেন!
বলবন্তের বছর পনেরোর ছেলে দু’বছর আগে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভাঙে। তা ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু কিছু দিন পর থেকেই এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয় সে। ছেলেকে নিয়ে ইনদওর থেকে গ্বালিয়র— সর্বত্র ছুটে বেড়ান চিকিৎসার জন্য। ছেলের চিকিৎসার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়। এমনকি শেষ সম্বল ১৫ বিঘা জমিও বিক্রি করতে বাধ্য হন। এত কিছু করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি অসহায় বাবা। অন্য দিকে, চিকিৎসকরাও জানিয়ে দিয়েছেন, এ রোগ সেরে ওঠার নয়। একমাত্র ঈশ্বরই ভরসা।
চিকিৎসকরা যেখানে আশা ছেড়ে দিয়েছেন, ঈশ্বরের শরণাপন্ন হতে বলেছেন, বলবন্ত সমস্ত আশা নিয়েই ছুটে গিয়েছেন ঈশ্বরের ‘দরবারে’। একটি হনুমান মন্দিরের সামনে অসুস্থ ছেলে এবং পরিবারকে নিয়ে এক মাস ধরে অপেক্ষা করেন। বিষয়টি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে পৌঁছয়। তার পরই তারা নড়েচড়ে বসে।
রাজগড়ের জেলাশাসক হর্ষ দীক্ষিতের নির্দেশে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ওই মন্দিরে পৌঁছন। বলবন্তের ছেলেকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে ভোপালে স্থানান্তর করানো হতে পারে বলবন্তের ছেলেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy