—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী চিকিৎসক। দু’দিন ধরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। সত্যিটা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রায় বরেলীর রেল কলোনি এলাকার। মৃতের নাম অরুণ কুমার। তিনি চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ। রেলের মেডিক্যাল আধিকারিক হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর কন্যার বয়স ১২ এবং পুত্রের বয়স মাত্র চার বছর। চিকিৎসক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয়েরা জানান, চিকিৎসক এবং তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের শেষ বার দেখা গিয়েছিল গত রবিবার। তার পর দু’দিন তাঁদের এলাকায় দেখা যায়নি। কোনও খোঁজও পাননি কেউ। বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। এর পর চিকিৎসকের সহকর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করা হয়। তাতেও সাড়া মেলেনি।
দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় চার জনের দেহ। রক্ত, ধারালো অস্ত্র, ওষুধপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মেঝেতে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ওই চিকিৎসক প্রথমে ওষুধ খাইয়ে স্ত্রী এবং সন্তানদের অজ্ঞান করে দিয়েছিলেন। তার পর তাঁদের মাথায় আঘাত করে খুন করেন। খুনের পর নিজের হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করেছিলেন চিকিৎসক। তাতে কাজ না হলে গলায় দড়ি দেন।
চার জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসীরা এই ঘটনায় স্তম্ভিত। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসক অত্যন্ত ভাল স্বভাবের মানুষ ছিলেন। সকলের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতেন। কেন এই কাজ তিনি করলেন, তা কেউ ভাবতে পারছেন না। পারিবারিক অশান্তির কারণে এই পথ তিনি বেছে নিয়েছেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy