Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Karnataka

‘গত দু-তিন দশকে রাজ্যে এমন অবস্থা দেখিনি’, কেন বললেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার

বেঙ্গালুরুর জলসঙ্কট মেটাতে সিদ্দারামাইয়া সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক ‘কড়া’ পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিবকুমার বলেন, ‘‘সঙ্কট নিরসন এবং নাগরিকদের জল সরবরাহ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।’’

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার।

কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৬
Share: Save:

প্রবল জলসঙ্কটে ভুগছে গোটা কর্নাটক রাজ্য। বিশেষ করে বেঙ্গালুরুতে জলের জন্য হাহাকার বেশি। জলের ঘাটতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার বলেন, ‘‘গত তিন-চার দশকে এমন খরা পরিস্থিতি দেখিনি।’’ সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে জানান, আগামী দু’মাস ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’।

বেঙ্গালুরুর জলসঙ্কট মেটাতে সিদ্দারামাইয়া সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক ‘কড়া’ পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিবকুমার বলেন, ‘‘সঙ্কট নিরসন এবং নাগরিকদের জল সরবরাহ করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। গত ৩০-৪০ বছরে আমরা এমন খরা দেখিনি।’’

জলসঙ্কট মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা-ও জানিয়েছেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী। বেঙ্গালুরুতে যত কূপ আছে তার মধ্যে প্রায় ৭ হাজার কূপ নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। শিবকুমার বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা জল সরবরাহ করতে পর্যাপ্ত ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ স্থানীয়দের পাশে দাঁড়াতে সরকারের তরফে হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিক কাজ যেমন গাড়ি ধোয়া, নির্মাণকাজ, বিনোদন সংক্রান্ত কোনও কাজে জল ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানায় বেঙ্গালুরু প্রশাসন।

বেঙ্গালুরু শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ৩০ লক্ষ। সেখানে দৈনিক জলের চাহিদা ২৬০ কোটি থেকে ২৮০ কোটি লিটার। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতি দিন বেঙ্গালুরুতে অন্তত ১৫০ কোটি লিটার জলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জলের হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে টুমাকুরু, উত্তর কন্নড় জেলার একাধিক এলাকাতেও।

জলসঙ্কট নিয়ে আসরে নেমেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। অবিলম্বে জলের সমস্যা না মেটালে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। এই প্রসঙ্গে শিবকুমার বলেন, ‘‘বিরোধীরা এ হেন ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।’’ অভিযোগ, বেঙ্গালুরুতে এক বালতি জল কিনতে ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জল অপচয় না করার বার্তা দিয়েছে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে কর্নাটক ওয়াটার সাপ্লাই বোর্ডের তরফে। একাধিক বার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ৫০০ টাকা করে বাড়তি জরিমানা দিতে হবে।

কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল? স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, শহরের বেশির ভাগ এলাকার নলকূপ শুকিয়ে গিয়েছে। জলস্তর গিয়েছে নেমে। অন্তত ৩০০০ জলাশয় শুকিয়ে গিয়েছে বলে দাবি।

অন্য বিষয়গুলি:

Karnataka DK Shivakumar Water crisis
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy