রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সুদীপ রায় বর্মণ টুইটার থেকে নেওয়া
জল্পনা ছিল, গেরুয়া শিবির ছাড়ার পর সুদীপ রায় বর্মণ ও আশিস সাহা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢেলে দু’জনেই কংগ্রেসে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে কংগ্রেস দফতরে গিয়ে তাঁরা দলে যোগ দেন।
সূত্রের খবর, গত চার মাস ধরে সুদীপ রায় বর্মণ কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। হাইকম্যান্ডও চাইছিল বিপ্লব দেব-বিরোধী বলে পরিচিত সুদীপ কংগ্রেসে যোগ দিন। মঙ্গলবার যোগদানপর্ব সম্পন্ন হয় দিল্লি সদর দফতরে।
সোমবার বিজেপি-র প্রাথমিক সদস্য পদ ত্যাগ করার পর তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। শুধু এক জনের (বিপ্লব দেব) গলাই শোনা যায়। তাই আমাদের দায়িত্ব রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।’’
তিনি এবং আশিস সাহা বিজেপি ছাড়ার পর জল্পনা চলছিল যে, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তাঁরা। বেশ কয়েক মাস আগে কলকাতায় এসে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন সুদীপ। ত্রিপুরা পুরনির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিপ্লব সরকারের সমালোচনা করতেও দেখা যায়।
কয়েক দিন আগে ত্রিপুরার পাঁচ বারের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ জানান ২০২৩-এ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপি-র টিকিটে আর দাঁড়াবেন না। তিনি তাঁর পুরনো দলে ফিরে যাওয়ায় বিধানসভা ভোটে সুদীপ রায় বর্মণ যে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন, তা স্পষ্ট হল। শুধু তাই নয়, মনে করা হচ্ছে ত্রিপুরায় তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে পারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
এর আগে কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। পরে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও হন। ২০১৬ সালে ছয় বিধায়ককে নিয়ে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেন। পাঁচ বছরের মাথায় ফের কংগ্রেসেই ফিরে গেলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy