ভারী বৃষ্টিতে ভাঙল বাড়ি। উদ্ধারকাজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দিল্লির আন্না নগরে। পিটিআই
কয়েক ঘণ্টার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তাতেই মৃত্যু দু’জনের। মিন্টো ব্রিজের নীচে রাস্তায় জমা জলে ডুবে গেল বাস। আইটিও লাগোয়া বসতিতে জলের তোড়ে ধসে গেল বাড়ি। তার পরেও রাজনীতির বারমুডা-ত্রিকোণেই আটকে দিল্লি!
গত কাল শেষ রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জোর বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। জল জমার কারণে কুখ্যাত মিন্টো ব্রিজের নীচে ডুবে গিয়েছে আস্ত বাস! সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে কুন্দন নামে এক পিক-আপ ট্রাক ড্রাইভারের দেহ। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ডুবে থাকা বাসের সামনেই ভাসতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর সেই টেম্পো ভাড়া খাটত সিআরপি-র জন্য। এ বছরের শেষ নাগাদ কুন্দনের মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা। জাহাঙ্গিরপুরিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন এক প্রৌঢ় (৫৫)।
বরাবরই বৃষ্টি একটু বেশি হলে, বানভাসি দশা হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার। জল জমে যায় বহু জায়গায়। এ বারও কয়েক ঘণ্টার জোর বৃষ্টিতে যে ভাবে আস্ত বাস ডুবে গিয়েছে, তার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্ভবত তার থেকেও বেশি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে আইটিও লাগোয়া বসতির পাশের খাল উপচে তার জল রাস্তা এবং বাড়ির মধ্যে দিয়ে বইতে থাকা। যে ভাবে তার জেরে বড় গাছ এবং তার পরে বাড়িও হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, বাড়ির ভিতরে লোক থাকলে তাঁদের কী হাল হত?
কিন্তু তার পরেও রাজনৈতিক দোষারোপের কাদা ছোড়াছুড়ি অব্যাহত। কংগ্রেসের টুইট, “আম আদমি পার্টির (আপ) লজ্জা হওয়া উচিত। দিল্লির মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত করেছে তারা। শুধু বিজ্ঞাপন দিয়েছে করদাতাদের টাকায়।” আপের বক্তব্য, এর দায় আসলে বিজেপি-শাসিত পুরসভার। আবার বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীরের প্রশ্ন, সরকারি বিজ্ঞাপনে বৃষ্টির জল ধরে রাখা নিয়ে এত কথা বলে শেষে এই!
দিনভর রাজনীতির কথার তোড় থামেনি রাজধানীতে। কয়েক ঘণ্টার বর্ষণে প্রাণহানিতেও!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy