কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সতর্কবাণী, অনুরোধের পরেও মণিপুরে অশান্তি থামছে না। সুগনুতে জঙ্গিদের সঙ্গে দফায়-দফায় গুলির লড়াই হচ্ছে যৌথ বাহিনীর। গত ৪৮ ঘণ্টায় সেখান অন্তত সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাদের মধ্যে নাজারেথে জঙ্গি শিবিরের কাছ থেকে চারটি গলিত দেহ মিলেছে। লাংচিংয়ে উদ্ধার হয়েছে চারটি দগ্ধ দেহ। পশ্চিম ইম্ফলের ফায়েং ও কৌট্রাকে জঙ্গি হামলায় পাঁচ জন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন। দু’টি বাড়িও পোড়ানো হয়েছে। কাংচুপ চিংখলে জঙ্গি হানায় জখম হয়েছেন ১৬ জন। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ও সেনা গোয়েন্দা শাখার প্রাক্তন কর্তা এল নিশিকান্ত সিংহ জানান, মায়ানমার থেকে আসা জঙ্গিরা লাথোড বোমা ও দুই ইঞ্চি মর্টারও ব্যবহার করেছে। সেখানে মণিপুর রাইফেলস ও পুলিশ কমান্ডোরা প্রথমে কোনওমতে জঙ্গিদের পিছু হটতে বাধ্য করেন। কিন্তু পরে তারা বিশাল দল নিয়ে ফিরে এসে বিভিন্ন গ্রামে ও নির্মীয়মান ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চড়াও হলে পুলিশ কমান্ডোরা পিছু হটতে বাধ্য হন। তাংজেং, নাপেট, পোম্বিখক এলাকায় জঙ্গি ও পুলিশের গুলির লড়াই হয়েছে।
এ দিকে সুগনুতে থানা ও এসডিপিও দফতরের প্রবেশপথ আটকানো নিয়ে মণিপুর পুলিশের সঙ্গেও আসাম রাইফেলসের বাদানুবাদের ঘটনা হয়েছে। অ্যান্ড্রোয় ডন বসকো ট্রেনিং সেন্টারে নিরাপত্তা বাহিনীর শিবির হবে খবর ছড়ানোয় প্রায় তিন হাজার মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে সেন্টারে আগুন লাগিয়ে দেন। মণিপুরিদের যৌথ মঞ্চ কোরকমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি করেছে, সংঘর্ষবিরতিতে থাকা কুকি জঙ্গিদের দমন না করলে রাজ্যে শান্তি ফিরবে না। অমিত শাহের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মেইতেইরা লুঠ হওয়া অস্ত্র ফেরত দিলেও কুকি জঙ্গি ও সীমান্তের ওপার থেকে আসা তাদের সঙ্গীরা পুরোদস্তুর যুদ্ধ চালাচ্ছে। সরকারি মতে, নিহতের সংখ্যা এখন শ’খানেক। ৩১০ জন জখম। ২৭২টি ত্রাণ শিবিরে সাড়ে ৩৭ হাজার জন। সংঘর্ষের ৪০১৪টি ঘটনায় ৩৭৩৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার ৬৫ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy