ছবি: পিটিআই
‘চিঁড়ে মুড়ি বাতাসা, মোদী-শাহের তামাশা’!
আজ রাজ্যসভায় মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বলতে উঠে এই স্লোগান তুললেন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং খাদ্যপণ্যের উপরে বসানো জিএসটি সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান ডেরেক তুলে ধরেছেন তাঁর বক্তৃতায়। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির ব্যর্থতার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করে ট্রেজ়ারি বেঞ্চকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি। বিপক্ষ হইচই করে উঠলে বলেছেন, ‘‘চোদ্দো মাস হয়ে গেল, এখনও আপনাদের গায়ে এত জ্বালা!’’
একটি কাল্পনিক দম্পতির গল্পকে প্রতীকের মতো ব্যবহার করে বক্তৃতার শুরুতেই ডেরেক বলেন, সকালের টুথপেস্ট, সাবান থেকে অফিস যাওয়ার জন্য গাড়ির জ্বালানি,বিকেলের হালকা খাবার মুড়ি থেকে বাজারের টোম্যাটো— সর্বত্র থাবা বসিয়েছে মূল্যবদ্ধি এবং জিএসটি। তাঁর কথায়, “সেই দম্পতি ক্লান্ত, বিধ্বস্ত হয়ে যখন বাড়ি ফেরেন, তখন ছেলেটি বলেন, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। মেয়েটি ছড়া কেটে বাংলায় বলে,‘চিঁড়ে মুড়ি বাতাসা, মোদী-শাহের তামাশা, জিএসটি-র তামাশা!”
তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে ডেরেক আজ দেখিয়েছেন, রাজ্যগুলির থেকে কেন্দ্রের সেস সংগ্রহ ক্রমশ বেড়েছে। অন্য দিকে দেশে কর্মসংস্থানের হার ক্রমশ কমেছে। ডলারের নিরিখে টাকার দাম ক্রমাগত পড়েছে। ডেরেকের কথায়, “আমেরিকার মূল্যবৃদ্ধি ৯ শতাংশ এবং ভারতের ৭ শতাংশ। তা হলে টাকার দাম তো ওঠার কথা ছিল, পড়ে যাচ্ছে কেন?” রাজ্যে বিজেপির হারের কারণ ব্যাখ্যায় ডেরেক বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা কথা দেন, তা রাখেন। তা সে বিনামূল্যে চাল অথবা চিকিৎসা-ওষুধই হোক, কিংবা লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী প্রকল্প।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy