রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে কি সাসপেন্ড করা হয়েছে? না কি করা হয়নি? এই নিয়েই একটি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও তৃণমূলের আর এক সাংসদ তথা মুখপাত্র সাকেত গোখলে টুইটে দাবি করেন, ডেরেককে এখনও সাসপেন্ড করা হয়নি। অন্য দিকে, রাজ্যসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডেরেকের সাসপেন্ডের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এখনও ঝুলে রয়েছে বিষয়টি।
মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবি জানায়। প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের গোড়াতেই ২৬৭ ধারায় লোকসভা এবং রাজ্যসভায় সব কর্মসূচি বন্ধ রেখে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ‘ঘটনা’-সহ মণিপুরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার দাবিতে নোটিস দিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিরোধী দল। মঙ্গলবারও সেই একই দাবিতে সরব হন ডেরেক।
As always, Modi Govt’s largest multimedia agency leads & godi channels dutifully spread brazen FAKE NEWS.
— Saket Gokhale (@SaketGokhale) August 8, 2023
MP @derekobrienmp has NOT been suspended. Even though that’s what Modi Govt is desperate wants. https://t.co/N5aglXv9XE
এর পরই ডেরেকের বিরুদ্ধে ‘অসংসদীয় আচরণ এবং চেয়ারকে অবমাননা’র অভিযোগ তুলে তাঁকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব রাখেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়াল। বিজেপি সাংসদের এই প্রস্তাবে তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান। তার পরই ডেরেককে ‘সাসপেন্ড’ করেন চেয়ারম্যান। তাঁকে রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও বলেন। এর আগেও গত শুক্রবার তৃণমূল সাংসদকে সতর্ক করেছিলেন চেয়ারম্যান ধনখড়। তখন তাঁকে উদ্দেশ্য করে চেয়ারম্যান বলেছিলেন, “নাটক করা আপনাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।” সোমবারও দিল্লি বিল নিয়ে আলোচনার সময় ডেরেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধনখড় জানান, জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই তিনি এই ধরনের ‘নাটক’ করছেন।
শুধু ডেরেক নন, এর আগেও গত ২৪ জুলাই আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহকে ‘সাংসদ পদের অবমাননা’ করার জন্য গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। ঘটনাচক্রে, সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব পেশ করেছিলেন বিজেপি সাংসদ পীযূষ গয়ালই। ধ্বনিভোটে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। তার পরই সঞ্জয়কে সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান। কিন্তু মঙ্গলবারের অধিবেশনে ডেরেককে আদৌ সাসপেন্ড করা হল কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেল।