শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি উঠল কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে গুলাম নবি আজাদ সরাসরি সনিয়া-রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে চলেছেন। তার পরেও কংগ্রেসের ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ, আনন্দ শর্মার মতো নেতারা গুলাম নবির সঙ্গে বৈঠক করছেন। এ বার কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি উঠল।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পরে আনন্দ শর্মা, হুডা, চহ্বাণরা গুলাম নবির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গান্ধী পরিবারের অনুগত কাউকে প্রার্থী করা হলে বিক্ষুব্ধ নেতাদের জি-২৩ শিবির থেকে কাউকে প্রার্থী করার বিষয়েও সেখানে আলোচনা হয়। তার আগেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা বিক্ষুব্ধদের পাল্টা নিশানা শুরু করেছেন। হরিয়ানার নেত্রী কুমারী শৈলজা তাঁরই রাজ্যের নেতা হুডাকে শো-কজ করার দাবি জানিয়ে এআইসিসি-র সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা কে সি বেণুগোপাল ও হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত বিবেক বনসলকে চিঠি লিখেছেন। অন্য দিকে ‘ওভারসিজ় কংগ্রেস’-এর নেতা বীরেন্দ্র বশিষ্ঠ মহারাষ্ট্রের নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির নেতা তারিক আনোয়ারকে চিঠি লিখেছেন। তাঁর অভিযোগ, চহ্বাণ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন।
হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুডা অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি গান্ধী পরিবারের সঙ্গেই রয়েছেন। হুডার যুক্তি, ‘‘আমরা ২৩ জন মিলে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলাম। সভানেত্রী সেই দাবি মেনে নিয়েছেন। কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন হচ্ছে। তারপরেও আজাদ কেন পদত্যাগ করলেন, সেটা জানতেই ওঁর কাছে গিয়েছিলাম।’’ শৈলজার চিঠি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেউ হতাশায় ভোগে। কারও স্বার্থ থাকে।’’ জি-২৩-এর আর এক সদস্য, লোকসভার সাংসদ মণীশ তিওয়ারি দলের সভাপতি নির্বাচনের ভোটারদের তালিকা প্রকাশের দাবি তুলেছিলেন। তাঁকে নিশানা করে দলের রাজ্যসভার সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জন আজ বলেছেন, ‘‘সাংসদরা যদি সদস্যপদ অভিযানে যোগ দিতেন, তা হলেই ভোটার তালিকার দরকার পড়ত না। এই সব সাংসদরা সেই কাজে যোগ দেননি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy