প্রতীকী ছবি
বিভিন্ন ডেটিং ওয়েবসাইটে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রোফাইল খোলা। তার পর সেই ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। প্রতারণা-সহ এমনই একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবক ও তার সঙ্গীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। লাজপত নগর এলাকা থেকে মূল আনন্দ কুমার ও তার সঙ্গী প্রিয়ম যাদব নামে ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আনন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এক মহিলা ডাক্তার। একটি ডেটিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে আনন্দের প্রথম পরিচয় হয়। তখন নিজের নাম রোহিত গুজরাল বলে জানিয়েছিল আনন্দ। নিজেকে অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে পরিচয় দেয় সে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, পরিচয়ের কিছু দিনের মধ্যেই ওই মহিলা ডাক্তারের সঙ্গে আনন্দের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে। ওই মহিলাকে প্রেমের জালে ফেলে তাঁর বিভিন্ন গোপন ছবি ও ভিডিয়োও হাতিয়ে নেয় আনন্দ। এর পরই ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ওই মহিলা ডাক্তারকে চাপ দিতে থাকে সে। টাকা না দিলে আনন্দ ওই সব ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলের ডেপুটি কমিশনার অন্বেষ রায় জানিয়েছেন, ডাক্তারির সঙ্গে আনন্দের কোনও সম্পর্কই নেই। একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা চালায় বছর তিরিশের ওই যুবক। বহু উঠতি মডেলের সঙ্গে আনন্দের যোগাযোগ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সব মডেলদের ছবি ব্যবহার করেই বিভিন্ন ডেটিং ও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে প্রোফাইল খুলত আনন্দ। আর এ কাজে তার সঙ্গী ছিল প্রিয়ম।
আরও পড়ুন: মৃত্যু, আক্রান্তের সংখ্যায় ফের রেকর্ড দেশে, রেকর্ড সুস্থ হওয়ার সংখ্যাতেও
পুলিশের দাবি, জেরায় আনন্দ জানিয়েছে, ‘কবির সিং’ নামের সিনেমাটি দেখেই এই পরিকল্পনা তার মাথায় আসে। মহিলাদের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর ফোন নম্বর আদানপ্রদান করত সে। তবে পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভিডিয়ো কলে তীব্র আপত্তি ছিল আনন্দের। মহিলাদের বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিত সে। ব্ল্যাকমেল করার উদ্দেশে তাঁদের গোপন ছবি ও ভিডিয়োও হাতিয়ে নিত সে। পুলিশের দাবি, গত চার মাসে ধরে এমন কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিল আনন্দ ও প্রিয়ম জুড়ি।
আরও পড়ুন:গভীর সঙ্কটকালে হিন্দুত্ব-জাতীয়তাবাদী অস্ত্রেই বর্ষপূর্তির ভাষণ শুরু মোদীর
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ওই মহিলা ডাক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। আনন্দের কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস হাতে পায় পুলিশ। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত তাদের ধরে ফেলে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy