ভি কে সাক্সেনা। ছবি: সংগৃহীত।
উপরাজ্যপালের সঙ্গে দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির সংঘাত ফের বাড়ল। দিল্লির বেসরকারি বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় আপ মনোনীত দুই ‘সরকারি সদস্য’কে বরখাস্ত করে সেই পদে শীর্ষ সরকারি আমলাদের বসানোর নির্দেশ দিয়েছেন উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা।
শনিবার এক নির্দেশে আম আদমি পার্টির মুখপাত্র জসমিন শাহ এবং আপ সাংসদ এনডি গুপ্তর ছেলে নবীন এনডি গুপ্তকে বিওয়াইপিএল, বিআরপিএল (অনিল অম্বানীর সংস্থা) এবং এনডিপিডিসিএল (টাটা)কে নিয়ে গঠিত বেসরকারি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার সরকার মনোনীত সদস্য পদ থেকে সরিয়ে দেন উপরাজ্যপাল।
উপরাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে ‘অসাংবিধানিক এবং বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে আম আদমি পার্টির অভিযোগ, বিদ্যুৎ নিয়ে নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র নির্বাচিত সরকারেরই। দলের কথায়, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত নির্দেশ এবং সংবিধান নিয়ে তামাশা করছেন উপরাজ্যপাল।’’
সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যসচিব উপরাজ্যপালকে একটি রিপোর্টে অভিযোগ করেন যে, করদাতাদের টাকায় বেসরকারি বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থাগুলিকে আর্থিক সুবিধা দিয়েছেন আপ মনোনীত সদস্যরা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই আপ মনোনীত সদস্যদের সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। যদিও এর আগে আপ-এর পক্ষ থেকে ওই রিপোর্টকে খারিজ করে বলা হয়েছিল, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলির নিয়মিত অডিট করা হয়।
রাজ্যপালের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে যেমন অর্থসচিব, বিদ্যুৎ সচিব এবং দিল্লির ট্রান্সকম-এর এমডি এই বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় থাকতেন, এখন থেকে তেমনই চলবে। অভিযোগ, কংগ্রেসকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই আপ দলীয় স্বার্থে ওই নিয়ম বদলে দলের নেতাদের সেখানে বসায়।
স্বাভাবিক ভাবেই এ দিন উপরাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে ক্ষমতায় আসা আপ-এর স্বরূপ স্পষ্ট। একই সঙ্গে কংগ্রেস নেতাদের দাবি, বিজেপি এবং আপ হাত মিলিয়ে শীলা দীক্ষিতের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও এখন স্পষ্ট যে, সেই সরকারে স্বচ্ছ্তা ছিল।
দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে আপের পাল্টা দাবি, দিল্লি বিধানসভার পরে পুরসভাতেও আপের কাছে গো-হারা হারের বদলা নিতে উপরাজ্যপালের মাধ্যমে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি। উপরাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার বদলে নানা ভাবে সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করছেন। যদিও জনগণ ভোটেই এই মিথ্যাচারের জবাব অতীতে দিয়েছে, আগামীতেও দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy