গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
দিল্লির সংঘর্ষের দায় নিয়ে অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করলেন সনিয়া গাঁধী। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সনিয়া একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে সনিয়ার বিরুদ্ধে সংঘর্ষ নিয়ে রাজনীতি করার পাল্টা অভিযোগ তুলে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
এ দিন তিনি বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কোথায় ছিলেন? কী করছিলেন তিনি? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখেও কেন আগে থেকে আধাসেনা ডাকা হল না?’’
সিএএ-বিরোধী ও সিএএ-পন্থীদের সংঘর্ষে গত চার দিন ধরে অগ্নিগর্ভ দিল্লি। অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪৪ ধারা, কার্ফু জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে দিল্লি পুলিশের ভূমিকায়। দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপর। আর সেই মন্ত্রকের দায়িত্বে অমিত শাহ। সংঘর্ষ এত বড় আকার নেওয়ার জন্য শাহকেই নিশানা করে সনিয়া এ দিন বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সহ গোটা কেন্দ্রীয় সরকারই এর জন্য দায়ী। অমিত শাহের ইস্তফা দিন, এই দাবি করছে কংগ্রেস।’’
আরও পড়ুন: ‘পেশাদারিত্বের অভাব’, দিল্লি পুলিশকে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের
আরও পড়ুন: দিল্লির সংঘর্ষে গোয়েন্দা অফিসারের মৃত্যু, চাঁদ বাগে মিলল দেহ
দিল্লির সংঘর্ষের জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই সংঘর্ষের পিছনে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। দিল্লির ভোটের সময় দেশবাসী সেটা দেখেছে। অনেক বিজেপি নেতা উস্কানিমূলক মন্তব্য করে ভয় ও হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে। এমনকি, গত রবিবারও এক বিজেপি নেতা একই রকম মন্তব্য করেছেন।’’
সনিয়ার এই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই পাল্টা জবাব দিতে আসরে নামে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। এমন পরিস্থিতিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দলের চেষ্টা করা উচিত। সেটা না করে উনি নোংরা রাজনীতি করছেন। সংঘর্ষে রাজনৈতিক রং দেওয়া অনুচিত।’’
অমিত শাহ কোথায় ছিলেন বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন সনিয়া। জবাবে জাভড়েকর বলেন, ‘‘ওঁরা জিজ্ঞেস করছেন, অমিত শাহ কোথায়। উনি গত কালও সর্বদল বৈঠক করেছেন। যেখানে এক জন কংগ্রেস নেতাও উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস সভানেত্রীর মন্তব্য পুলিশের মনোবল ভাঙতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy