Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

ঘৃণা-মন্তব্যে এত সময় দেওয়া ‘অনুচিত’, শুক্রবারই দিল্লি হাইকোর্টকে শুনানির নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ১৮:৪৪
Share: Save:

ঘৃণা-মন্তব্যে দিল্লির বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এত দিনেও কেন এফআইআর হয়নি— এই প্রশ্ন তুলে দিল্লির পুলিশ প্রশাসনকে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলিধর। রাতারাতি তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয় পঞ্জাব হাইকোর্টে। তার পরের দিনই সরকার পক্ষকে চার সপ্তাহের সময় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সময় দেওয়া নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এত সময় দেওয়া ‘অনুচিত’ বলে মন্তব্য করে ৬ মার্চ শুক্রবারই সব মামলা একত্রিত করে শুনানির নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।

‘দেশ কি গদ্দারোঁ কো, গোলি মারো সালোঁ কো’— এই স্লোগান তুলেছিলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আর এক বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র বলেছিল, ‘আরেকটা শাহিন বাগ হতে দিইনি’। এই সব মন্তব্য উত্তর-দিল্লির জাতি হিংসায় উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই এলাকার বেশ কিছু সাধারণ মানুষ। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এস মুরলিধর দিল্লির পুলিশ প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করতে বলেছিলেন। কিন্তু রাতারাতি তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। পরের দিনই সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে এক মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।

সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। বুধবার সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির এস এ বোবদের বেঞ্চে। শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আমরা মনে করি ন্যায়বিচারের স্বার্থে সব মামলা দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির অধীনে নথিবদ্ধ হোক। এই সংক্রান্ত যে স্থগিতাদেশ হয়েছে, তা এগিয়ে এনে শুক্রবারই শুনানি হোক। হাইকোর্টকে আমরা অনুরোধ করছি, এই সংক্রান্ত বিষয় দ্রুততার সঙ্গে বিচার করতে।’’

এর পরেই স্থগিতাদেশের প্রশ্ন আসে। সে ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমাদের মনে হয়, এত দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থগিতাদেশ দেওয়া ঠিক হয়নি। হাইকোর্ট যে হেতু বিষয়টি সম্পর্কে অবগত, তাই তার এক্তিয়ারে আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাই না।’’

আরও পড়ুন: দিল্লি-সংঘর্ষ থেকে নজর ঘোরাতেই কি করোনা নিয়ে মাতামাতি? প্রশ্ন তুললেন মমতা

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন না হোলির অনুষ্ঠানে, করোনা আতঙ্কে জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ

সরকার পক্ষের হয়ে সওয়ালে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মামলাকারীদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘এটা মেনে নেওয়া কঠিন যে দু’তিনটি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জেরে এই রকম জাতি হিংসা হতে পারে।’’ সোমবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শীর্ষ আদালত তা মঞ্জুর না করে শুক্রবারেই শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy