অরবিন্দ কেজরীবাল।
দিল্লিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হয়েছে। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, এখনই রাজধানীতে লকডাউন জারি করার কোনও পরিকল্পনা নেই প্রশাসনের।
শুক্রবার দিল্লিতে কোভিড পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেজরীবাল বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ হঠাৎই বাড়তে শুরু করেছে। ১৬ মার্চ দিল্লির দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪২৫। আর ২ এপ্রিল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০তে।’’
বৃহস্পতিবারও দিল্লিতে ২৭৯০জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। রাজধানীতে সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিন যে ভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ‘‘করোনার এই চতুর্থ ঢেউ তৃতীয় ঢেউয়ের মতো জোরালো নয়। অন্যান্য বারের থেকে করোনা সংক্রমিতদের আইসিইউয়ে ভর্তির সংখ্যা এবার অনেকটাই কম।’’ গত অক্টোবরেই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ প্রবল ভাবে বেড়েছিল দিল্লতে। তার সঙ্গেই তূলনা টেনে কেজরীবাল বলেন, ‘‘অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে ৪০ জনের মৃত্যু হচ্ছিল দিল্লিতে। কিন্তু এই চতুর্থ ঢেউয়ে সংখ্যাটা আপাতত ১০-এর আশেপাশেই রয়েছে।’’
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগে একাধিক রাজ্যের সরকার। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই লক ডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত জারি হয়েছে কারফিউ। তবে কেজরীবাল জানিয়েছেন, এখনই তাঁর সরকার দিল্লিতে লকডাউন জারি করার কথা ভাবছে না। আপাতত হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো আরও উন্নত করা এবং আরও বেশি রোগীর স্থান সংকুলানের ব্যবস্থা করার দিকেই মন দিয়েছেন তাঁরা। তবে চতুর্থ ঢেউ বেশি বিপজ্জনক না হলেও দিল্লিবাসীকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছেন কেজরী। বলেছেন, ‘‘আমি দিল্লিবাসীকে হাতজোড় করে অনুরোধ করব, দয়া করে মাস্ক পরুন।’’ সেই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ‘‘টিকাকরণের ক্ষেত্রে বয়স জনিত অগ্রাধিকারের বিষয়টি সরিয়ে দিলে ভাল হয়। সেক্ষেত্রে দ্রুত সমস্ত দিল্লিবাসীকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে পারে দিল্লি প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy