বাবা-মা এবং দিদিকে কী ভাবে খুন করা হবে, তা জানতে ইন্টারনেট ঘেঁটে তথ্য জোগাড় করেছিলেন দিল্লির অভিযুক্ত তরুণ অর্জুন তনওয়ার। পুলিশের এক সূত্র অন্তত তেমনই দাবি করছে। ঘটনাচক্রে, প্রথমে দিদিকে শ্বাসরোধ করে, তার পর গলার নলি কেটে খুন করেন অর্জুন। তার পর দোতলায় উঠে বাবার গলায় ছুরি বসিয়ে দেন। অর্জুনের বাবা তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থাতে তাঁর উপর হামলা চালান তিনি। তার পর আবার নীচের তলায় ফিরে আসেন। মা বাথরুম থেকে বার হতেই তাঁর উপর হামলা চালান।
হামলার ধরন এবং প্রক্রিয়া দেখে পুলিশ এখন এই সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে যে, ইন্টারনেট ঘেঁটে যে তথ্য জোগাড় করেছিলেন অর্জুন, তার সঙ্গে এর কোনও মিল রয়েছে কি না। তবে পুলিশের ওই সূত্র জানাচ্ছে, কেন তিনি খুন করলেন, কোনও মানসিক বিকৃতি রয়েছে কি না, তা জানতে তরুণের ‘সাইকো অ্যানালিসিস’ পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের ফোন, ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরুণকে আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে আরও জেরা করতে চায় তারা। তবে জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, খুনের প্রক্রিয়া জানার জন্য ইন্টারনেট ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মায়ের গলায় ছুরি চালানোর পর রক্ত আটকাতে তাঁদের গলায় কাপড় পেঁচিয়ে দিয়েছিলেন তরুণ। তার পর রক্তমাখা পোশাক ছেড়ে তা ব্যাগে ভরে বেরিয়ে যান। সঞ্জয় বনের কাছে সেই ব্যাগ ফেলে দিয়ে আসেন। তার পর বাড়ি ফিরে রক্ত ধুয়ে ফেলে আবার বেরিয়ে যান।
বুধবার দক্ষিণ দিল্লির নেব সরায়য়ে একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতেরা হলেন, রাজেশ কুমার (৫১), তাঁর স্ত্রী কোমল (৪৬) এবং তাঁদের কন্যা কবিতা (২৩)। খুনের অভিযোগ উঠেছে ওই পরিবারেরই ছেলে অর্জুনের বিরুদ্ধে।