বিমানচালককে মারধরের অভিযোগ যাত্রীর বিরুদ্ধে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
বিমান ছাড়তে দেরি হচ্ছিল বলে সটান পাইলটকেই মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সাহিল কাটারিয়া মধুচন্দ্রিমার জন্য গোয়া যাচ্ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র। পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁর।
পুলিশের কাছে সাহিল জানিয়েছেন, কুয়াশার কারণে দেরিতে ছাড়ছিল বিমান। সে কারণে অধৈর্য হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই দিন গোয়া গিয়ে তাঁর বহু পরিকল্পনা ছিল। সে সবও ভেস্তে যাচ্ছিল। তাই তিনি রেগে গিয়ে ওই কাণ্ড বাধিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর সাহিলকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেন বিমানচালক। যদিও সাহিলের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য অভিযোগ আনার কারণে কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুক্তির পর সাহিল দাবি করেন, বিমানটি কখন ছাড়বে, সে বিষয়ে তাঁকে এবং অন্য যাত্রীদের সঠিক তথ্য দিচ্ছিলেন না চালক। সে কারণেই তিনি উত্তেজিত হয়ে চড় মেরেছিলেন চালককে। ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিয়ো দেখে অনেকেই সাহিলের শাস্তির দাবি তুলেছেন। তবে বিমানে উপস্থিত কয়েক জন যাত্রী আবার তাঁকে সমর্থন করেছেন।
১৫ জানুয়ারি দিল্লিতে ঘন কুয়াশার কারণে বহু ঘণ্টা দেরিতে চলেছিল বেশ কয়েকটি বিমান। তার মধ্যে দিল্লি থেকে গোয়াগামী ইন্ডিগোর ৬ই২১৭৫ বিমানটি প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছিল। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় উড়েছিল সে বিমান। তার আগেই সেখান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাহিলকে। সাহিলের ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশিত হওয়ার পর তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডে। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরনের কাণ্ড ঘটালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy