Advertisement
E-Paper

Suicide: ফ্ল্যাটকে গ্যাস চেম্বার বানিয়ে আত্মঘাতী মা, দুই মেয়ে! ‘সাবধান’ লেখা সুইসাইড নোট দিল্লির দামি আবাসনে

মৃত্যুর আগে সাবধানবাণী! যাতে উদ্ধারকারীরা বিপদে না পড়েন। এমন একটা সুইসাইড নোট দেখে পুলিশও আঁতকে উঠেছে।

বন্ধ ঘর থেকে মা এবং দুই মেয়ের দেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। মোটা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে ফেলা ঘর। ছবি সৌজন্য টুইটার।

বন্ধ ঘর থেকে মা এবং দুই মেয়ের দেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। মোটা প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে ফেলা ঘর। ছবি সৌজন্য টুইটার।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২২ ১৩:০৭
Share
Save

ঘরে ঢুকেই পুলিশের চোখে পড়েছিল ডায়েরির কয়েকটি ছেঁড়া পাতায় ইংরেজি হরফে লেখা— ‘টু মাচ ডেডলি গ্যাস… কার্বন মনোক্সাইড ইনসাইড’ (চরম বিষাক্ত গ্যাস… কার্বন মনোক্সাইড)। পরের লাইনে লেখা—‘ডু নট লাইট ম্যাচেস অর লাইটার আফটার ওপেনিং দ্য ডোর’ (ঘরে ঢুকে ভুলেও দেশলাই বা লাইটার জ্বালাবেন না)। তার ঠিক কয়েক হাত দূরেই নিথর হয়ে পড়ে ছিলেন বছর পঞ্চাশের এক মহিলা এবং তাঁর দুই মেয়ে।ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরের ভিতরটা। জানলা দিয়ে যাতে আলো, হাওয়া না ঢোকে তার জন্য সব জানলা মোটা প্লাস্টিকে ঢাকা। ঘরে অক্সিজেন ঢোকার কোনও উপায় ছিল না। একেবারে নিশ্চিদ্র অন্ধকূপে পরিণত করে ফেলা হয়েছিল গোটা ঘর। ভিতরে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। গোটা ঘর যেন একটা গ্যাস চেম্বার।

রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের নব খোলা। সেখান থেকে তখনও গ্যাস বেরোচ্ছিল। ঘরে ঢুকেই যাতে কেউ বিপদে না পড়েন, তাই দরজার কাছেই রাখা ছিল সুইসাইড নোট। এবং তাতে লেখা সতর্কবাণী— ‘বি কেয়ারফুল হোয়াইল রিমুভিং দ্য কার্টেন বিকজ রুম ইজ ফুল অব হ্যাজার্ডাস গ্যাস। ডু নট ইনহেল (খুব সাবধানে ঘরের পর্দা সরাবেন। কারণ গোটা ঘর ভয়ানক গ্যাসে ভর্তি। নিঃশ্বাস নেবেন না।)

এই নোটই উদ্ধার হয়েছে।

এই নোটই উদ্ধার হয়েছে।

মৃত্যুর আগে সাবধানবাণী! যাতে উদ্ধারকারীরা বিপদে না পড়েন। এমন একটা সুইসাইড নোট দেখে পুলিশও আঁতকে উঠেছে। কতটা ঠান্ডা মাথায় এবং পরকল্পিত ভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে পরিবারটি তা ভেবেই স্তম্ভিত পুলিশ আধিকারিকরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, মহিলার নাম মঞ্জু। তাঁর দুই মেয়ে অংশিকা এবং অঙ্কু। দিল্লির বসন্ত বিহারের বাসিন্দা তাঁরা। স্থানীয়রা মঞ্জুদের সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই তিন জনের দেহ মেলে।

মঞ্জুর স্বামী গত বছরের এপ্রিলে কোভিডে মারা যান। তার পর থেকেই পরিবারটি মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। মঞ্জু অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। কেন আত্মহত্যা করলেন তিন জন, এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Suicide Delhi

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}