(বাঁ দিকে) স্বাতী মালিওয়াল। অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আম আদমি পার্টি (আপ)-র রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালকে নিগ্রহের মামলায় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের নাম জুড়ল দিল্লি পুলিশ। আদালতে দেওয়া চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় ধৃত বৈভব কুমারের সঙ্গে ঘটনার পর পরই দেখা করেছিলেন কেজরীওয়াল। সেই সাক্ষাতে দু’জনের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও চার্জশিটে দাবি করল দিল্লি পুলিশ।
অভিযোগ, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের বাসভবনে স্বাতীকে নিগ্রহ করেছিলেন বৈভব। ১৬ মে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ১৮ মে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিনের আর্জি খারিজ হওয়ায় বর্তমানে বৈভব জেলেই রয়েছেন। ঘটনার দিন কেজরীওয়ালের বাসভবনে ঠিক কী ঘটেছিল এবং প্রমাণ লোপাট বা ঘটনার নেপথ্যে কারা কারা জড়িত ছিলেন সেই উত্তরই এখন খুঁজছে দিল্লি পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দিল্লি পুলিশ চার্জশিটে ‘ষড়যন্ত্রে’র কথা উল্লেখ করেছে। বৈভবের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাতে পুলিশ ইঙ্গিত করেছিল স্বাতীর উপর হামলার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে। শুধু কেজরীওয়াল নন, আপ নেত্রী তথা মন্ত্রী অতীশী মারলেনা এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহের কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন উঠতেই অতীশী এবং সঞ্জয়, দু’জনেই তাঁদের বয়ান পরিবর্তন করেছিলেন।
সেই প্রসঙ্গ টেনে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরের দিন সঞ্জয় বৈভবের নিন্দা করে বয়ান দিয়েছিলেন আপ সাংসদ সঞ্জয়। কিন্তু তিন দিন পর আবারও সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাতীর আনা যাবতীয় অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আকস্মিক অবস্থান পরিবর্তন তদন্তকারী অফিসারদের ভাবিয়েছে। তার পরই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব মাথাচাড়া দেয়। পরস্পরবিরোধী অবস্থানের নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র বা কারও পরামর্শ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। একই ভাবে অতীশীর কথাও জানিয়েছে তারা।
স্বাতী দাবি করেছিলেন, গত ১৩ মে কেজরীওয়ালের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁকে নিগ্রহ করেন কেজরীর ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমার। আপ সাংসদের দাবি, বৈভব তাঁকে ৭-৮টি চড় এবং পেটে লাথি মারেন। ১৬ মে দিল্লি পুলিশের কাছে বৈভবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্বাতী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy