নিক্কি যাদব খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই সাহিল গহলৌত-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। নিক্কিকে খুনের পর তাঁর দেহ লুকোতে নাকি সাহায্য করেছিলেন দিল্লি পুলিশেরই এক কনস্টেবল। পুলিশ সূত্রে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
যে কনস্টেবলের বিরুদ্ধে সাহিল গহলৌতকে নিক্কিকে খুন এবং দেহ লোপাটে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠছে, তিনি আর কেউ নন, সাহিলেরই তুতো ভাই নবীন। নিক্কিকে খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই সাহিল, তাঁর বাবা, দুই তুতো ভাই এবং সাহিলের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, নিক্কিকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, সাহিলের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর নিক্কির দেহ ধাবা থেকে সরিয়ে লোপাট করে দেওয়া হবে এমনই পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের।
পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ভেবেছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সকলে ব্যস্ত থাকবে। ধাবাতেও এই ক’দিন খুব একটা যাতায়াত হবে না বাড়ির আত্মীয়স্বজনদের। ফলে অনুষ্ঠানের পরই সেই দেহ সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওই সূত্রের আরও দাবি, বিয়ের ঠিক আগের দিনই নিক্কিকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নিক্কিকে খুনের পর তাঁর দেহ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার বিষয়টিও আগে থেকে স্থির করা ছিল। অভিযুক্তরা ভেবেছিলেন যে, ফ্রিজে দেহ রাখলে পচন ধরবে না। কোনও গন্ধও বেরোবে না। ফলে কারও সন্দেহ হবে না।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালে নিক্কিকে বিয়ে করার পর থেকেই সাহিলকে তাঁর বাড়ি থেকে চাপ দেওয়া শুরু হয়েছিল। নিক্কির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ দেওয়া হত। সাহিলের বাড়ির লোকেরা যখন কিছুতেই সাহিলের থেকে নিক্কিকে সরাতে পারছিলেন না, তখন সাহিলের অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন ২০২২ সালে। তাঁর যে বিয়ে ঠিক হয়েছে, এই বিষয়টি সাহিল সম্পূর্ণ গোপন করেছিলেন নিক্কির কাছে। কিন্তু বেশি দিন বিষয়টি গোপন থাকেনি নিক্কির কাছে। সাহিলের অন্যত্র বিয়ের খবর জানতে পারার পর থেকে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। অন্য দিকে, সাহিলের বিয়ের দিনও এগিয়ে আসছিল। নিক্কি যাতে কোনও রকম সমস্যা তৈরি করতে না পারে, তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সাহিল। আর এ কাজে তাঁর পরিবারের লোকজনও সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিক্কির তুতো ভাই নবীন যে হেতু পুলিশেই কাজ করেন, তাই এই অপরাধ করে বিষয়টি সহজেই ধামাচাপা দেওয়া যাবে বলে মনে করেছিলেন অভিযুক্তরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy