প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে খুনের অভিযোগ দিল্লির ধাবা মালিক সাহিল গহলৌতের বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত।
দিনের আলোতেই প্রেমিকা নিক্কি যাদবকে খুন করেছিলেন দিল্লির ধাবা মালিক সাহিল গহলৌত। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নতুন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। এত দিন বলা হচ্ছিল, গত ৯ এবং ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী রাতে নিক্কিকে খুন করা হয়। কিন্তু এ বার পুলিশ জানতে পেরেছে খুনের আসল সময়।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে নিক্কিকে খুন করেছিলেন সাহিল। তার আগে প্রেমিকার সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা গাড়িতে করেই ঘোরেন। দিল্লির নিগমবোধ ঘাটে পার্কিং এলাকায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রেমিকার গলায় মোবাইল চার্জারের তার পেঁচিয়ে ধরেন তিনি। শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করেন নিক্কিকে।
এখানেই শেষ নয়, পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, খুনের পরে নিক্কির মোবাইল ঘাঁটতে বসেন সাহিল। তন্ন তন্ন করে হোয়াটস্অ্যাপের সব চ্যাট খুঁজে তা মুছে দেন। নিজের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই কাজ করেন তিনি। ফরেন্সিক পরীক্ষা, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ। উত্তম নগর এলাকায় যে বাড়িতে নিক্কি ভাড়া থাকতেন, সেখানকার প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দিল্লির কৈর গ্রাম থেকে সাহিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিক্কিকে খুন করে নিজের ধাবায় একটি ফ্রিজের মধ্যে সেই দেহ তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পরেই চলে গিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। সেখানে খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্য এক মহিলাকে তিনি বিয়ে করেন।
পুলিশকে সাহিল জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে ঠিক হওয়ার কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন নিক্কি। দু’জনের মধ্যে তা নিয়ে বচসা শুরু হয়। বচসার জেরে গোয়া বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও বাতিল করে দেন নিক্কি। তার পরেই ৫ বছরের প্রেমিকা তথা একত্রবাস সঙ্গীকে খুন করেন সাহিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy