Advertisement
২০ জানুয়ারি ২০২৫
National news

দিল্লি যেন পাইরেটেড সিনেমারও রাজধানী

আরব সাগরের ঢেউ এসে রাজধানী দিল্লির গায়ে আছড়ে পড়ল। ঢেউয়ের নাম বলিউড সিনেমার পাইরেসি!

অপরাজিতা মৈত্র
শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০১৬ ১৬:৪৭
Share: Save:

আরব সাগরের ঢেউ এসে রাজধানী দিল্লির গায়ে আছড়ে পড়ল।

ঢেউয়ের নাম বলিউড সিনেমার পাইরেসি!

‘উড়তা পাঞ্জাব’-এর অনলাইন রিলিজের পর এ বার ‘গ্রেট গ্রান্ড মস্তি’ও হলে রিলিজের আগে অনলাইনে রিলিজ হয়েছে। আর এই সব সিনেমাই অনলাইন থেকে সিডি ও পেনড্রাইভে করে সহজেই মানুষের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। রাজধানীতে রমরম করে চলছে এই নকলের বাজার। দিল্লির বিস্তীর্ণ অংশে পাইরেটেড সিনেমার এক বিশাল বাজার আছে। আর সেই বাজারে মাত্র ১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই আপনি পেয়ে যাবেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বা এখনও মুক্তি পায়নি এমন সব হিন্দি সিনেমা। ‘সুলতান’ বা ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’, ঢিসুম— এই সব সিনেমাই সহজে পাওয়া যাচ্ছে পাইরেটেড সিনেমার বাজারে। ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’ সিনেমার প্রোডাকশন হাউসের তরফ থেকে করা পাইরেটেড সিনেমা সংক্রান্ত এক অভিযোগের পরই দিল্লির চাঁদনি চক, সাকেত, মালবিয়া নগর, পালিকা বাজার, লাজপত মার্কেট, তুঘলকাবাদ এক্সটেনশন প্রভৃতি জায়গার পাইরেটেড সিনেমার বাজারে হানা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ, বাজেয়াপ্ত করেছে বহু সিডি। যদিও পাইরেটেড সিনেমা বন্ধ করার জন্য তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করে পুলিশেরই একাংশ।

এ সব বাজারে ক্রেতার দরদাম করার ক্ষমতার ওপর সিনেমার দাম নির্ধারিত হয়। পেন ড্রাইভ ও সিডির মধ্যে সহজেই পাওয়া যাবে প্রায় সব সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা।

আরও পড়ুন: ক্রিকেট-রায়ে ক্ষোভ, তবু দোলাচল

দিল্লি পুলিশের জয়েন্ট সিপি(ক্রাইম) রবীন্দ্র যাদব বলেন, “আমরা আমাদের লোকদের ক্রেতা সাজিয়ে এই দোকানগুলিতে পাঠিয়েছিলাম। ক্রেতাদের কাছে এই দোকানদারদের একটাই কথা: ‘আপনাদের কোন সিনেমা চাই? যা চাই ৫০ টাকায় তা ডাউনলোড করে দিয়ে দেব।” তিনি জানিয়েছেন, পাইরেটেড সিনেমার ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগের এটাই প্রধান ব্যবসা নয়, অন্য ব্যবসার সঙ্গে ‘সাইড বিজনেস’ হিসেবে এই ব্যবসা করেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।

পুলিশি অভিযানের পর সাকেত-এর একটি সিনেমা হলের কাছে পাইরেটেড সিনেমার এক ব্যবসায়ী বললেন, “যে সব দর্শকের মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখার মতো অবস্থা নেই মূলত তাঁরাই আমাদের ক্রেতা, ৫০ টাকার মধ্যে তাঁরা সমস্ত সিনেমা এ ভাবেই দেখে থাকেন।” সেই ব্যবসায়ী এ-ও জানেন না যে অনলাইনে সিনেমা ডাউলোড করে বিক্রি করা বেআইনি কাজ। তাঁর কথায়: “সিনেমা দেখা কবে থেকে ক্রাইম হয়ে গেল?” আবার চাঁদনি চকের আর এক বিক্রেতার মতে, “পুলিশ মাত্র কিছু দোকানে হানা দিয়ে সিডি বা দোকান সিজ করতে পারে, কারণ সেটাই সব থেকে সহজ। কিন্তু শহরের বহু মানুষই অনলাইন থেকে সিনেমা ডাউনলোড করে ফোনে সিনেমা দেখেন কোনও খরচ না করেই, তাঁদের ক্ষেত্রে পুলিশ কী করবে? ফোন তো সিজ করতে পারবে না।” পাইরেটেড সিনেমার বাজার দিল্লিতেই সীমাবদ্ধ নেই। এখান থেকে বিভিন্ন রাজ্যেও সিডি ও পেন ড্রাইভে করে সিনেমা পাঠানো হয়।

একক ক্রেতা ছাড়াও দূরপাল্লার বাসের বহু ড্রাইভার বা মালিকও এই সিডি কেনেন, তাই কোনও বাসে চেপে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সেই সিডির প্রিন্টও যে খুব খারাপ হয় তা নয়।

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Prirated Cinema
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy