—ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে দুর্গাপুজো নিয়ে আগে বিঁধেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরে এ বার বিজেপি কোনও পুজো করছে না বলে জানিয়ে উৎসব বন্ধ রাখার আবেদন করেছিলেন। এখন তাঁরা নিজেরাই দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন। এ দিকে দিল্লির বাঙালি পাড়া চিত্তরঞ্জন পার্কে এ বার পুজো উদ্যোক্তারা নমো নমো করে পুজো সারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেটা নিয়ে বিজেপি আঙুল তুলছে আম আদমি পার্টির দিকে।
সোমবার সকালে দক্ষিণ দিল্লির গ্রেটার কৈলাসের আপ বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ চিত্তরঞ্জন পার্ক, গ্রেটার কৈলাস, অলকানন্দা, কালকাজি এলাকার প্রায় ১২টি পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। আগেই পুজো কমিটিগুলি ঘটপুজো বা একেবারে ছোট মাপের পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। বৈঠকে ভরদ্বাজ বলেন, চিত্তরঞ্জন
পার্কের বাসিন্দা ও পুজো কমিটির সদস্যদের সিংহভাগ প্রবীণ নাগরিক। করোনার বিপদের কথা মাথায় রেখে তাঁদের বাড়িতেই থাকা জরুরি। কিন্তু পুজো আয়োজনের নিরবচ্ছিন্নতা বজায় রাখতে ১০-১৫ জন সদস্য জড়ো হয়ে ঘটপুজো করবেন। অন্য এলাকার বাসিন্দারা যাতে পুজোর সময় চিত্তরঞ্জন পার্কে ভিড় না করেন, তার জন্যও আবেদন জানান ভরদ্বাজ।
এর পরেই বিজেপির দিল্লির নেতারা কেজরীবাল সরকারের দিকে আঙুল তোলেন। দিল্লি বিজেপির সহ-সভাপতি রাজন তিওয়ারি বলেন, পুজো বন্ধ করে দিল্লির সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ভরদ্বাজের যুক্তি, চিত্তরঞ্জন পার্কের বাসিন্দা ও পুজো কমিটির উদ্যোক্তারাই বৈঠকে পুলিশ ও প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাঁরা যেন পুজোর সময় বাইরের মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করেন।
পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, যেখানে প্রতিমা এনে পুজো করা হবে, সেখানেও প্রতিমার মাপ ১৬ ফুটের থেকে কমিয়ে ৫ ফুট করে দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনের সময়ও যাতে ভিড় না হয়, সে দিকে নজর রাখা হবে। ভোগ-প্রসাদ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আয়োজনা করা হয়েছে। চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির সোসাইটির পুজোতেও বাইরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অনলাইনে দর্শন, অঞ্জলির ব্যবস্থা হবে। দিল্লির অন্যান্য এলাকাতেও উদ্যোক্তারা কম-বেশি একই পথে হাঁটছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy