ছবি: পিটিআই।
হারার পর বোধোদয়! দিল্লি নির্বাচনে আপের কাছে হওয়ার পরে অমিত শাহ স্বীকার করে নিয়েছিলেন, দিল্লির নাড়ি বুঝতে তাঁর ভুল হয়েছিল। বিরোধীদের ‘গোলি মারো’ বলা বা বিধানসভা নির্বাচনকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াই হিসেবে তুলে ধরে প্রচারও ঠিক হয়নি। এ বার বিজেপির দিল্লি সভাপতি মনোজ তিওয়ারির স্বীকারোক্তি, ভোটের প্রচারে তাঁর দলের নেতাদের কুকথা বলার রাজনীতি ভাল ভাবে নেননি রাজধানীবাসী। তবে হারার পিছনে বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কাউকে তুলে না ধরাকেও দায়ী করেছেন মনোজ।
হারের পর থেকেই নেতাদের কুকথা নিয়ে সরগরম বিজেপির অন্দরমহল। এ দিন এক ধাপ এগিয়ে কপিল মিশ্র, প্রবেশ বর্মা, যোগী আদিত্যনাথের মতো যাঁরা ভোট প্রচারে কুকথা বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির সওয়ালও করেছেন মনোজ। তাঁর মূল নিশানায় ছিলেন আপ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কপিল মিশ্র। মনোজের কথায়, ‘‘আমি চাই, যাঁরা এমন কুকথা বলেন, তাঁদের চিরতরে বহিষ্কার করা হোক। যেখানে যাঁরা কুকথা বলবেন, তাঁদের ভোটে লড়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হোক। যদি এমন পদক্ষেপ করা হয়, তা হলে একজন নাগরিক হিসেবে আমি সেই ব্যবস্থাকে সমর্থন করব।’’
দিল্লির বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীবালকে জঙ্গি বলতেও ছাড়েননি। প্রবেশের ওই মন্তব্যকে সমর্থন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও। তখন কিন্তু এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেননি কোনও বিজেপি নেতা। যদিও সেই যুক্তি এখন মানতে নারাজ মনোজ। তাঁর দাবি, ‘‘যে কারণেই বলা হোক, এ ধরনের কুকথার জন্যই দল হেরেছে। আমি তখন ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলাম, এখনও করছি।’’ গত বারের মতো এ বারের নির্বাচনে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দলের কোনও নেতাকে তুলে ধরেননি বিজেপি নেতৃত্ব। অন্তর্কলহ এড়াতেই ওই সিদ্ধান্ত নেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহেরা। মনোজের মতে, ওই সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হয়েছে। তাঁর মতে, যেখানে আপ কেজরীবালকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তুলে ধরেছে, সেখানে তাঁর সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেন এমন কোনও মুখকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করা উচিত ছিল।
আরও পড়ুন: এক থাপ্পড়েই কি দাম্পত্যের শেষ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy