Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

চ্যালেঞ্জের মুখে অমিত শাহের ‘চাণক্য’ তকমা

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:২৯
Share: Save:

ফল প্রকাশের পরের দিনও দিল্লি ভোট নিয়ে নীরবই রইলেন নরেন্দ্র মোদী। এ দিন সন্ধেয় এক অনুষ্ঠানে তিনি ফিরিস্তি দিলেন গত আট মাসের কাজের। বললেন, দুনিয়ার সব থেকে যুব দেশে ‘টোয়েন্টি-টোয়েন্টি’ ম্যাচের গতিতে খেলছে সরকার। ৩৭০ থেকে রামমন্দির, এমনকি নাগরিকত্ব আইনের কাজও শেষ। তবে এ সব স্রেফ ‘নমুনা’। আসল কাজ শুরু এখান থেকেই। এমন অনেক ফয়সালা হবে, সেঞ্চুরি নয়, ডবল সেঞ্চুরি হবে।

কিন্তু এ দিনও দেখা গেল না অমিত শাহকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে এলেন না। তবে কাল সকাল সাড়ে ৯টায় বিমস্টেক দেশগুলির সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা তাঁর। দিল্লিরই বিজ্ঞান ভবনে।

২০১৪-র লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশে আশির মধ্যে সত্তরের বেশি আসন পাইয়ে দিয়ে মোদীর থেকে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ শিরোপা পেয়েছিলেন শাহ। তার পর থেকেই তাঁকে বিজেপির ‘চাণক্য’ বলা হয়। দিল্লি বিপর্যয়ের পর দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, শাহ কি এ বার ‘চাণক্য’ তকমা খোয়াবেন? এক নেতার দাবি, ‘‘শুধু মেরুকরণে ভর করে প্রচার করা তো শাহের ভুল কৌশল ছিলই। তার উপর বুথ-ফেরত সব সমীক্ষা যখন আপ ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখনও সংশয়ে ছিলেন শাহ। প্রকাশ্যে আসেননি। ঘনিষ্ঠদেরও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি দল কত আসন পেতে চলেছে।’’ এর মধ্যে ভেসে আসছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্বও। পাঁচ বছর আগে এই দিল্লিতেই সঙ্ঘ ও বিজেপি কর্মীরা কাজ করেননি। এ বারেও কি তাই হল?

আরও পড়ুন: এসপিজি নিরাপত্তায় ৪ জনের ছিল ৫৪০ কোটি, একা মোদীর জন্যই বেড়ে ৫৯২ কোটি!

অনেকে অবশ্য মনে করেন, শাহ এত সক্রিয় না-হলে ফল আরও শোচনীয় হত। নির্মলা সীতারামন আজ বলেন, ‘‘আমরা হারিনি। আপের পক্ষে জমি আগে থেকেই তৈরি ছিল।’’ কিন্তু দলে প্রশ্ন, এটা আগাম জানা সত্ত্বেও শাহের কৌশল কেন কাজে এল না?

গত লোকসভায় ‘থ্রি নট থ্রি’ আসন আনলেও একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হচ্ছে। দিল্লির ভোট নিজের লড়াই হিসেবেই নিয়েছিলেন শাহ। বিজেপির একটি অংশ বলছে, উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণের অস্ত্র কাজ করলেও দিল্লিতে তা ব্যর্থ হয়েছে। এখানে মুসলিমরা সংগঠিত হয়েছেন, কিন্তু হিন্দুরা হননি। তা হলে কি ব্যর্থ হচ্ছে শাহের ‘মাইক্রোম্যানেজমেন্ট’? জমির সঙ্গে যোগ ছিন্ন হচ্ছে? প্রকাশ জাভড়েকর অবশ্য বলছেন, ‘‘এর পর বিহার ও বাংলায় জিতলে কী বলবেন? মেরুকরণ নয়, উন্নয়নেই বেশি জোর ছিল প্রচারে। কিছু রাজ্যে হার হয়েছে, আমরা শিক্ষা নেব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy