Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Delhi Court

Delhi Court Firing: গোগী সাদা টুপি খুলতেই শুরু হয় গুলি-চালনা, দিল্লি-কাণ্ডে প্রকাশ্যে এল প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

পরনে চকচকে কালো কোট, কালো ট্রাউজার্স, কালো জুতো। কিন্তু হাতে কোনও কাগজপত্র নেই। রাহুল ও মরিসকে দেখে আগেই সন্দেহ হয়েছিল আইনজীবী তুষার মানের।

আদালত কক্ষে উপস্থিত আইনজীবী-সহ অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এল ওই ঘটনার বিবরণ।

আদালত কক্ষে উপস্থিত আইনজীবী-সহ অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এল ওই ঘটনার বিবরণ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৪:০২
Share: Save:

বৃহস্পতিবার একটি খুনের মামলায় গোগীকে আদালতে তোলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে টিল্লু গ্যাংয়ের দুষ্কৃতী সুনীল মানকেও আদালতে তোলার কথা ছিল। বিচারক বিবৃতির কাগজ পড়ছিলেন। আর সেই সময়েই...
বৃহস্পতিবার দিল্লির রোহিণী আদালতের ২০৭ নম্বর আদালত কক্ষে গুলিযুদ্ধের দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত গোটা দেশ। দিল্লি পুলিশ অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দেশ জুড়ে। ওই সময়ে আদালত কক্ষে উপস্থিত আইনজীবী-সহ অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে উঠে এল ওই ঘটনার বিবরণ।

বিরোধী টিল্লু তাজপুরিয়া গোষ্ঠীর দুই সদস্যের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে রাজধানীর কুখ্যাত গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র মান ওরফে গোগী। পরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ গিয়েছে রাহুল ও মরিস নামে ওই দুই ছদ্মবেশী খুনিরও।

পরনে চকচকে কালো কোট, কালো ট্রাউজার্স, কালো জুতো। কিন্তু হাতে কোনও কাগজপত্র নেই। হাত পকেটে ছিল। রাহুল ও মরিসকে দেখে আগেই সন্দেহ হয়েছিল আইনজীবী তুষার মানের। তিনি বলছেন, ‘‘আদালত কক্ষে খালি হাতে কে ঢোকে? শুধু তাই নয়, বিচারক এজলাসে ঢুকতেই আমরা সবাই উঠে দাঁড়িয়েছিলাম। শুধু ওই দু’জন বাদে।’’

প্রায় ৩৫-৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে বৃহস্পতিবার। রোহিণী আদালতের ২০৭ নম্বর কক্ষ জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ওই গুলি, বলছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। তাঁর কথায়, ‘‘আদালত কক্ষে তখন সবাই উপস্থিত। বিচারক বিবৃতির কাগজ পড়ছিলেন। তখন সময় সাড়ে ১২টা থেকে ১টা। কয়েক জন পুলিশ গোগীকে নিয়ে ভিতরে ঢোকেন। গোগীকে সাদা টুপি খুলে মাস্ক পরতে বলা হয়। সেটাই করছিল ও। আর সেই সময়েই দুই দুষ্কৃতী গুলি চালাতে শুরু করে।’’

ঘটনার সময়ে আদালতের চত্বরেই ছিলেন আইনজীবী মুকেশ চন্দ্র। তাঁর বয়ান, ‘‘গুলির আওয়াজ শুনেই ছুটে গিয়েছিলাম ২০৭ নম্বর ঘরের কাছে। গিয়ে দেখি, এক পুলিশকর্মী গুলি চালিয়েই যাচ্ছেন। একটা থামের আড়ালে গিয়ে গোটা দৃশ্য দেখে হতবাক আমি। গুলিচালনা বন্ধ হতেই কক্ষে ঢুকে দেখি দুই দুষ্কৃতীর রক্তমাখা নিথর শরীরে মাটিতে পড়ে রয়েছে। তখনও জীবিত ছিল গোগী…।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Court Firing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy