একে অন্যকে চ্যালেঞ্জ করলেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
কোন রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন, তাই নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে চ্যালেঞ্জ করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। বিজেপি শাসিত অসমের সরকারি স্কুলের সংখ্যা এবং শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করলেন আপ প্রধান। হিমন্তের কাছে তাঁর জিজ্ঞাসা, কবে অসমের স্কুল দেখতে যাবেন।
বিজেপি ‘সিরিয়াল কিলার’। রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী সরকারকে ‘খুন’ করা তাদের লক্ষ্য। শুক্রবার কেজরীর এমন আক্রমণের পর বিভিন্ন বিজেপি নেতা পাল্টা তোপ দেগেছেন। এই প্রেক্ষিতে টুইট-যুদ্ধে জড়ান হিমন্ত ও কেজরী। অবশ্য এই যুদ্ধের শুরু বুধবার। অসমে স্কুল বন্ধের খবরের একটি ওয়েবসাইট লিঙ্ক শেয়ার করে কেজরীবাল লেখেন, ‘কোথাও স্কুল বন্ধ হওয়া উচিত নয়। বরং সারা দেশে আরও বেশি স্কুল খোলা দরকার।’ এর পর অন্য প্রসঙ্গে টুইট করে কেজরীকে খোঁচা দেন হিমন্ত।
শনিবার টুইটারে আবার অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন কেজরী। লেখেন, ‘আমাদের যদি কেউ জিজ্ঞেস করেন, আমি কখন আসব, তখন আমরা তাঁদের বলি, যখন পারো চলে এসো।’ এর পর কেজরীর কটাক্ষ, অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি যেচে বলেছিলেন তাঁর রাজ্যের সরকারি স্কুল দেখতে যাবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আমন্ত্রণই জানালেন না!
এর পর অবশ্য টুইট করেন হিমন্ত। তিনি লেখেন, ‘হ্যাঁ অসমে আসুন। আপনাকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিয়ে যাব। যার সংখ্যা আপনাদের (দিল্লির) মহল্লা ক্লিনিকের চেয়ে অনেক বেশি। তা ছাড়়া আমাদের দারুণ সমস্ত স্কুলের শিক্ষক এবং পড়ুয়াদেরও দেখে যান।’ উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে দিল্লির সরকারি স্কুল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতিকরণকে চাঁদমারি করে গত বিধানসভা ভোটে প্রচার চালিয়েছে আপ। ভোটবাক্সে তার প্রভাবও পড়েছে।
অন্য দিকে, কেজরীকে উদ্দেশ্য করে হিমন্ত কটাক্ষ করেন, দিল্লির থেকে আয়তনে ৫০ গুণ বড় অসম। তাঁর রাজ্যে ৪৪,৫২১টি স্কুল রয়েছে। সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৫ লক্ষ। এমনকি, কেজরীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে ‘হোমওয়ার্ক’ করে লড়াইয়ের বার্তা দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy