হুড়মুড়িয়ে ভাঙল বাড়ি। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
আচমকাই চড়চড় করে মাটি ফাটার শব্দ শোনা গিয়েছিল। তার পরেই তাসের ঘরের মতো চোখের নিমেষে ভেঙে পড়ল বাড়িটি! গত কয়েক দিন ধরেই টানা বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরাখণ্ড। তার মধ্যেই মালদেবতার ‘দেহরাদূন ডিফেন্স কলেজ’-এর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
রবিবারেই রাজ্যের ছ’টি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল মৌসম ভবন। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেহরাদূন, পাউরি, তেহরি, নৈনিতাল, চম্পাওয়াত এবং উধম সিংহ নগরে। ধসের জেরে বন্ধ চামোলি জেলার পিপলকোটি এলাকায় বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক। চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘‘রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহু গাড়ি আটকে রয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জরুরি পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজের জন্য দু’টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
কয়েক দিন ধরেই হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টি চলছে। রবিবার রাতে হিমাচলের একটি গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আরও কয়েক জনকে। টানা বৃষ্টিতে ফুঁসে উঠেছে বিপাশা নদী। যার জেরে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডও। মুহুর্মুহু পাহাড়ি ধসে জনজীবন ব্যাহত হয়েছে এই দুই রাজ্যেই। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। নদীর জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে। খরস্রোতা বিপাশা নদীর জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। প্রায়ই কোথাও না কোথাও ধস নামছে। ধসের কারণে রাস্তা আটকে বিপদে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। দুই রাজ্যের মোট ৬২১টি রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। কোথাও মেরামতির কাজ চলছে। কোথাও বৃষ্টির কারণে সম্ভব হচ্ছে না তা-ও। শুধু শিমলাতেই ৫৯টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ হয়ে আছে। শিমলা এবং চণ্ডীগড়ের সংযোগকারী শিমলা-কালকা জাতীয় সড়কে ধসের কারণে গত দু’সপ্তাহ ধরে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ধস নেমেছে ঋষিকেশ-চম্বা জাতীয় সড়কেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy