গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এনডিএতে যোগদান ঘিরে এ বার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দলের অন্দরে মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এল। সোমবার জনতা দল-সেকুলার (জেডিএস)-এর কর্নাটক শাখার সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিএম ইব্রাহিম জানিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে শামিল হবেন না। দেবগৌড়া এবং তাঁর ছেলে তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইব্রাহিমের প্রশ্ন, ‘‘যে দলের নামে ‘সেকুলার’ রয়েছে, তারা কী ভাবে বিজেপির সঙ্গে জোটে যেতে পারে?’’
গত ২২ সেপ্টেম্বর দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে এনডিএতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন কুমারস্বামী। তার পর থেকেই দলের অন্দরে বিষয়টি নিয়ে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক নেতা জেডিএস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। দেবগৌড়ার আর এক ছেলে তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রেভন্নাও এনডিএতে যাওয়ার বিরোধী বলে দলের একটি সূত্রের খবর। কুমারস্বামীর সঙ্গে রেভন্নার সঙ্ঘাত দীর্ঘদিনের।
গত ১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে অ-বিজেপি রাজনৈতিক দলগুলির মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’ আত্মপ্রকাশ পরেই বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কুমারস্বামী। তার পর কন্নড় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ২০১৮ সালে বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে ভোটের পর জেডিএসকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। তার পর কয়েক মাস পর অবশ্য সেই সরকার পড়ে গিয়েছিল।
কিন্তু এ বার কংগ্রেস একার শক্তিতেই সরকার গঠন করেছে। জেডিএসের সমর্থন তাদের প্রয়োজনও হয়নি, কংগ্রেসও ডাকেনি। অনেকের মতে, ক্ষমতার অলিন্দে যেতে না পেরেই সিদ্দারামাইয়া, শিবকুমারদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছেন কুমারস্বামী। দলের প্রধান দেবগৌড়া গত অগস্টে জানিয়েছিলেন, আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পরে মত বদলান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy