ভোটের মুখে রং বদলাল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রচারমাধ্যম দূরদর্শনের হিন্দি খবরের চ্যানেলের লোগো। ছবি: এক্স।
ভোটের মুখে রং বদলাল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রচারমাধ্যম দূরদর্শনের হিন্দি খবরের চ্যানেলের লোগো। ছিল ঘন লাল, হল গেরুয়া। বিরোধীরা স্বাভাবিক ভাবেই সরব হয়েছেন। কেউ বলছেন, দুরদর্শনের গেরুয়া দর্শন। কারও মতে— ছিল প্রসার ভারতী, নরেন্দ্র মোদীর হাতে পড়ে হল
‘প্রচার ভারতী’।
দূরদর্শনের হিন্দি খবরের চ্যানেলটি যে নতুন রঙে আসছে, মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে তা ঘোষণা করেছিল প্রসার ভারতী। এর আগে গত বছর দূরদর্শন (ডিডি) ইন্ডিয়া-র লোগোটি গেরুয়া করা হয়েছিল। ডিডি ন্যাশনাল-এর লোগোটিও বদলে গেরুয়ার মাঝে নীল রঙের করা হয়েছে। প্রসার ভারতীর সিইও গৌরব দ্বিবেদী অবশ্য রং বদলের পিছনে রাজনীতি বা গেরুয়াকরণ দেখছেন না। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন— “কোথায় গেরুয়া? এটা তো কমলা রং!” দ্বিবেদীর যুক্তি, “মাঝে মাঝেই রং বদলানো হয় ডিডি-র লোগোর। আর কে না জানে সব চেয়ে বেশি নজর কাড়ে কমলা, হলুদ বা কালো রং।” প্রসার ভারতীর সিইও বলেন, “এর আগে গত বছর তো ডিডি ন্যাশনাল এবং ডিডি ইন্ডিয়ার লোগোর রং বদলানো হল। কেউ তো কোনও প্রশ্ন তোলেননি? আমরা কিন্তু শুধু রং বদলাইনি। আধুনিক যন্ত্র এনেছি, স্টুডিয়োও বদলে ফেলেছি। অথচ সে সব কেউ বলছেন না।”
১৯৭৬-এর পয়লা এপ্রিল দূরদর্শনের আত্মপ্রকাশের সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এই লোগোটি পছন্দ করেছিলেন। সঙ্গের সুরটি নির্মাণ করেছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর এবং উস্তাদ আলি আমেদ হুসেন খান। সেই লোগো এখনও চলছে।
অর্থনীতির প্রবীণ অধ্যাপক সৌরীন ভট্টাচার্য বলেন, “রং বা নামের প্রতীক অবশ্যই রাজনীতিতে নতুন নয়। একদা পূর্ণমন্ত্রী যতীন চক্রবর্তীও কলকাতায় শহিদ মিনারের মাথায় লাল রং করেছিলেন। তৃণমূল বাড়ির রং নীলসাদা করলে কর ছাড়ের কথাও উঠেছিল।” বিজেপির আমলে কোনও জায়গার নামে মুসলিম শাসকদের সময়ের ছাপ মোছার চেষ্টা থেকে গেরুয়া রং লেপার রাজনীতি তীব্র হয়েছে। মোগলসরাইয়ের দীনদয়াল উপাধ্যায়, ইলাহাবাদের প্রয়াগরাজ নামকরণ থেকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের গেরুয়া জার্সির বন্দোবস্তে নির্দিষ্ট রাজনীতির ছক রয়েছে বলে অনেকেরই পর্যবেক্ষণ।
প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার এখন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য। তাঁর কথায়, “অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো দূরদর্শনেও গৈরিকিকরণ করেছে মোদী সরকার। নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করলেই দেখবেন, মেরুন বা লালের আবহকে বদলে গেরুয়া করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার কর্মীদের অর্ধেকের পোশাক নীল বা ধুসর থেকে বদলে গেরুয়া করা হয়েছে সেই জি-২০-র সময়ে। সেটাই চলছে। এই ভাবেই সরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে শাসক দলের রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে।” জহরবাবু বলেন, “ছিল প্রসার ভারতী, হল
প্রচার ভারতী!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy