মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’য় কারও প্রাণহানি না হলেও সম্পত্তির যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ কত, তার হিসাব পেতে আগামী সাত দিন সময় লাগবে বলে জানাল ওড়িশা সরকার। এই মর্মে ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলাগুলিকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানিয়েছেন প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ‘ডেনা’র কারণে ২ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ জমি জলে ডুবে রয়েছে। অন্য দিকে, ১ লক্ষ ৭৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কৃষি এবং রাজস্ব দফতরের যৌথ উদ্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানানা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে গিয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। কৃষি দফতরের মুখ্য সচিব অরবিন্দ পারহী জানিয়েছেন, জেলাশাসকদের তত্ত্বাবধানে গোটা প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে। শনিবার থেকে ঝড়পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘ অনেক এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়ি। বৃষ্টিতে জলমগ্ন অনেক বাড়ি। সেই সব এলাকায় এখনও বাসিন্দাদের ফিরতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। কারণ সাপের কামড়। দেওয়াল ভেঙে পড়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ওই এলাকার বাসিন্দাদের আপাতত আরও কয়েক দিন আশ্রয়শিবিরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব জেলাগুলি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়েছিল, সেই জেলাগুলিতে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। ঝড়ে রাস্তার উপড়ে পড়ে থাকা গাছগুলি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চাষের জমি, ফসলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ঝড়ের। বেশির ভাগ জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রাপড়া এবং ভদ্রক পরিদর্শনে যান বিদ্যুৎ দফতরের সচিব হেমন্ত শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। শনিবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy