—প্রতীকী ছবি।
এক দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল আবারও সেই গুজরাত। কয়েক দিন আগেই আরও এক দলিত যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যেই। ভাল পোশাক পরায় সেই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয়। দলিতদের উপর হামলার ঘটনায় এর আগেও বহু বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে গুজরাত। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটল।
এ বার দলিত ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল রাজ্যের খানপুর তালুকে। গত ৭ মে হামলার ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাজু ভঙ্কর নামে ওই ব্যক্তি। শনিবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। দলিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিধায়ক জিগ্নেশ মেবাণী দলিত ব্যক্তির মৃত্যুতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, যত ক্ষণ না দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে, দলিত ব্যক্তির দেহ নেবে না তাঁর পরিবার।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ (২) এবং ১১৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও তফসিলি জাতি এবং উপজাতি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে পেশায় এক জন অটোচালক ছিলেন রাজু। গত ৭ জুন রাতে হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন তিনি। খাওয়াদাওয়া শেষে কিছু খাবার পার্সেল করে দিতে বলেন রাজু। খাবার কেন কম দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিবাদ জানিয়ে হোটেল মালিককে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হোটেল মালিক বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। অভিযোগ, এর পরই রাজুকে জাতপাত তুলে গালিগালাজ করেন হোটেল মালিক এবং ম্যানেজার। রাজু প্রতিবাদ করায় প্রথমে তাঁকে শাসানো হয়, তার পর দু’জনে মিলে বেধড়ক মারধর করেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন রাজু। ওই অবস্থাতেই তিনি বাড়ি ফেরেন। পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানান। গভীর রাতে তলপেটে ব্যথা শুরু হয় রাজুর। তড়িগড়ি তাঁকে মহীসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরোদার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় রাজুর। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর।
গত ৩০ মে দামি পোশাক এবং রোদচশমা পরে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন জিগর শেখালিয়া নামে এক যুবক। তাঁকে দেখে এক দল লোক শাসাতে শুরু করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রামেরই একটি মন্দিরের সামনে গিয়েছিলেন জিগর। পরনে তাঁর দামি পোশাক ছিল। এ বারও সেখানে হাজির হন রাজপুত সম্প্রদায়ের এক দল লোক। অভিযোগ, এ বার আর শাসানি নয়, জিগরকে টানতে টানতে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যান তাঁরা। তার পর বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy