তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। —ফাইল চিত্র।
বেজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। চিনও চাইছে কথা বলতে। দলাই লামা আজ বলেছেন, “চিন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। তিব্বতের সমস্যা নিয়ে চিনের সঙ্গে কথা বলতে আমি রাজি। চিন এখন বুঝতে পারছে, তিব্বতের লোকেদের আবেগ অত্যন্ত শক্তিশালী। আর তিব্বতের সমস্যাকে মেটানোর জন্য তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। আমিও তৈরি রয়েছি।”
দলাই লামার কথায়, “আমরা স্বাধীনতা চাইছি না। বহু বছর ধরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা চিনের অংশ। এখন চিনের বদল হচ্ছে। ঘরোয়া ভাবে হোক বা আনুষ্ঠানিক ভাবে— চিন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছে। কারও উপর আমার রাগ নেই। তিব্বতের প্রতি চিনের যে নেতারা এতটা খারাপ ব্যবহার করেছেন, তাঁদের প্রতিও আমাদের রাগ নেই। চিন ঐতিহাসিক ভাবেই বৌদ্ধদের দেশ। আমি সেই দেশে গিয়ে এটা বুঝতে পেরেছিলাম।” সেই সঙ্গেই দলাই লামা বলেছেন, “তিব্বতিদের যে সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ভাবধারা রয়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের উপকার হবে। আমি সমস্ত ধর্মকেই সম্মান করি। কারণ, তারা তাদের অনুগামীদের ভালোবাসা ও ক্ষমা করতে শেখায়। আমি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে ১০০ বছরের বেশি বাঁচতে চাই। আমার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার দীর্ঘ জীবনের জন্য আপনারা প্রার্থনা করুন।”
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সাল থেকে তিব্বতে আলাদা সরকারের নেতৃত্বে দিচ্ছেন দলাই লামা। তিব্বতের স্বায়ত্তশাসনের দাবি উড়িয়ে চিন সরকার গ্রেফতার করতে চায় দলাই লামাকে। ১৯৫৯ সালে চিন প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে তিনি ভারতে আসেন। ভারত তাঁকে আশ্রয় দেয়। পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে, তিব্বতের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে গোটা বিশ্বে প্রতিবাদ করে চলেছেন তিব্বতিরা। এই পরিস্থিতিতে চিনের সঙ্গে দলাইয়ের আলোচনার সম্ভাবনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনেকরা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy