গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৩.৬৯ শতাংশ। ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে করোনার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা টানা তিন দিন ধরে কমতে শুরু করলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা এক লাফে বেড়ে ১৭ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে হল ১৭,১৩৫। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ১৩,৭৩৪।
রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকার শীর্ষে তামিলনাড়ুকে ছাপিয়ে আবার শীর্ষে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৮৬। এর পরে রয়েছে কর্নাটক (১,৭৩৬), দিল্লি (১,৫০৬), তামিলনাড়ু (১,৩০২), কেরল (১,০৫৭)। লক্ষদ্বীপে কোভিডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৯,৮২৩ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৪ লক্ষ ৩ হাজার ৬১০ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৯ শতাংশ।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ১২ জন, মহারাষ্ট্র ও রাজস্থানে পাঁচ জন, পশ্চিমবঙ্গে চার জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া দিল্লি, ছত্তীসগঢ় ও উত্তরাখন্ডে তিন জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, মণিপুরে দু’জন এবং জম্মু ও কাশ্মীর, চণ্ডীগড়, পুদুচেরি,হরিয়ানা, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ৩৪। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৩.৬৯ শতাংশ। মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৩৪ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৪ কোটি ৮৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৭৩২ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy