২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪৫। ফাইল চিত্র
টানা তিন দিন করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা এক ধাক্কায় বেড়ে ২০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে হল ২০,৫৫৭। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ১৮,৩১৩। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই রাজ্যেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের গণ্ডি পার করেছে। মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২,১৩৮। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৩০। এর পরে রয়েছে তামিলনাড়ু (১,৮০৩), কর্নাটক (১,৬২৪), পশ্চিমবঙ্গ (১,২৭৩) ও ওড়িশা (১,১৭৪)। রাজধানীতেও কোভিডে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা হাজারের ঘরে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১,০৬৬।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৬.৯১ শতাংশ। বুধবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.৩১ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ১৩ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে আট জন, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। কর্নাটক, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, মণিপুর ও ত্রিপুরায় দু’জন এবং অসম, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, হিমাচল প্রদেশ, চণ্ডীগড়, সিকিম ও নাগাল্যান্ডে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৫৭। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৭৫। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৯,২১৬ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৮৭ জন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy