দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে হল ৪.১৩ শতাংশ। ফাইল চিত্র
টানা দু’দিন দেশ জুড়ে দৈনিক সংক্রমণের রেখচিত্র নিম্নমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা এক লাফে তা আবার ২০ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ২০,৫৫৭। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ১৫,৫২৮। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়ে হল ৪.১৩ শতাংশ। মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৩২ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৮,৫১৭ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৪০ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৭ শতাংশ। দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ২০০ কোটি ৬১ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৮৪ টিকাকরণ হয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ুকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,২৭৯। এর পরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (২,২৪৩), তামিলনাড়ু (২,১৪২) ও পঞ্জাব (১,৯৪১)। কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। এর মধ্যে কেরলে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ১১ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রে ছয় জন, পঞ্জাবে চার জন, অসম ও সিকিমে তিন জন, রাজধানীতে দু’জন এবং ওড়িশা, রাজস্থান, হরিয়ানা, মণিপুর ও জম্মু ও কাশ্মীরে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। মঙ্গলবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ২৫। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৮২৫।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy