গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। ফাইল চিত্র
গত সপ্তাহে দেশ জুড়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে থাকলেও দু’দিন ধরে কোভিড সংক্রমণের রেখচিত্র নিম্নমুখী হতে দেখা গিয়েছে। সোমবার এই সংখ্যা ১৭ হাজারের কাছাকাছি থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় আরও কমে ১৫ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমে হল ১৫,৫২৮। সোমবার এই সংখ্যা ছিল ১৬,৯৩৫। রাজ্যভিত্তিক কোভিডের সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দেশে দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গকে ছাপিয়ে শীর্ষে রয়েছে তামিলনাড়ু। গত ২৪ ঘণ্টায় তামিলনাড়ুতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,২২৩। এর পরে রয়েছে কেরল (২,১৪৮), পশ্চিমবঙ্গ (১,৪৪৯), মহারাষ্ট্র (১,১১১) ও কর্নাটক (১,১০৮)।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে ৬ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া কেরলে পাঁচ জন, অসমে তিন জন, দিল্লি, বিহার ও প়ঞ্জাবে দু’জন এবং ছত্তীসগঢ়, জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা, রাজস্থান, গোয়াতে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। সোমবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এই সংখ্যা ছিল ৫১। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৮৫। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে হল ৩.৩২ শতাংশ। সোমবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৬.৪৮ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৬,১১৩ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ১৩ হাজার ৬২৩ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৭ শতাংশ। দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ২০০ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৫৭ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy