দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে করোনার উদ্বেগ। টানা তিন দিন ধরে দেশে দৈনিক সংক্রমণ রয়েছে কুড়ি হাজারের উপরেই। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ২০,০৩৮। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ২০,০৪৪। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতি লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় মহারাষ্ট্র ও কেরলকে ছাপিয়ে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার পার করেছে। কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৩,০৬৭। কেরলেও সংক্রমণ তিন হাজার ছুঁইছুঁই। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৯৭৯। এর পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র (২,৩৭১), তামিলনাড়ু (২,৩১২) ও ওড়িশা (১,০৪৩)। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বেড়ে হল ৪.৮০ শতাংশ। শুক্রবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.৪৪ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে ২৭ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে ১০ জন, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন, হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও গুজরাতে দু’জন এবং ওড়িশা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, বিহার, পঞ্জাব, অসম, সিকিম ও উত্তরাখণ্ডে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে। শুক্রবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৭। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৬০।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮,৩০১ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬৫১ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৪৮ শতাংশ। দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৯৯ কোটি ৭১ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৩৮ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy