এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯৩ টিকাকরণ হয়েছে। —ফাইল চিত্র
দেশ জুড়ে আবার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ১৬,২৯৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমে ১৬,২৯৯। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ১৬,০৪৭। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে এখনও রয়েছে দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৪৬। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে মহারাষ্ট্র (১,৮৪৭), কর্নাটক (১,৬৮০), কেরল (১,৩১৭) ও হরিয়ানা (১,১৪৫)।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য কমে হল ৪.৫৮ শতাংশ। বুধবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৪.৯৪ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। এর মধ্যে রাজধানীতে মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আট জন ব্যক্তি মারা গিয়েছে।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে সাত জন, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন, কেরল ও গুজরাতে চার জন, পঞ্জাবে তিন জন গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, বিহার, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, ত্রিপুরায় দু’জন এবং ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, সিকিম ও মেঘালয়ে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৫৪। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৪২ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৯,৪৩১ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪১ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫৩ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৭ কোটি ২৯ লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৯৩ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy