গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.৯৪ শতাংশ। —ফাইল চিত্র
টানা চার দিন ধরে দেশে দৈনিক কোভিড সংক্রমণের রেখচিত্র নিম্নমুখী হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটাই বেড়ে ১৬ হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ১৬,০৪৭। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ১২,৭৫১। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের সীমারেখা পার করেছে। জানুয়ারি মাসের পর রাজধানীতে আবার করোনার উদ্বেগ বেড়ে উঠেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২,৪৯৫। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে মহারাষ্ট্র (১,৭৮২), কর্নাটক (১,৬০৮), উত্তরপ্রদেশ (৯৪২) ও তামিলনাড়ু (৯৪১)।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পঞ্জাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সাত জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়া কেরলে ছয় জন, পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ জন, মিজোরাম ও হিমাচল প্রদেশে তিন জন, কর্নাটক, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও সিকিমে দু’জন এবং হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, নাগাল্যাণ্ড ও গুজরাতে এক জন করে ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা ছিল ৪২।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হল ৪.৯৪ শতাংশ। মঙ্গলবার দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৫০ শতাংশ। যত জন মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হল, তাঁদের মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার বলা হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ১৯,৫৩৯ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৩৫ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬১০ জন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৫২ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৮৯। এখনও পর্যন্ত দেশে ২০৭ কোটি ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২০৪ টিকাকরণ হয়েছে।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy