অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে ইয়াস।
মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে ইয়াস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টায় মৌসম ভবন প্রকাশিত বুলেটিনে এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ওই বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ৬ ঘণ্টায় স্থলভাগের আরও কাছে চলে এসেছে ইয়াস। তার আগেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় তা ‘অতি শক্তিশালী’ হওয়ার সম্ভাবনা। আর সেই অবস্থা বজায় থাকতে পারে বুধবার রাত পর্যন্ত।
বুলেটিন জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ১৯ ডিগ্রি ১ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ ডিগ্রি ১ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, ওড়িশার বালেশ্বর থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব,পশ্চিমবঙ্গের দিঘা থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাগর দ্বীপ থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে ইয়াস। তার অভিমুখ রয়েছে ওড়িশার বালেশ্বরের দিকে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ ঘূর্ণঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার থাকলেও পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় তা হয়েছে ১৫ কিলোমিটার। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে গতিবেগ হ্রাসের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতিও কমে। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বইতে থাকার পূর্বাভাস আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। বুলেটিনে বলা হয়েছে, ইয়াস স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ (গাস্টিং) ১৩০ কিলোমিটার হতে পারে। বুধবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ (গাস্টিং) ১৮০ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে অতি ভারী এবং ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে বুলেটিনে। পশ্চিবঙ্গের দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপড়া, জগৎসিংহপুরের মতো উপকূলীয় জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে বুলেটিনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy