পুরী সমুদ্র সৈকত। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
তীব্র বেগে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। শুক্রবার বিকেলের মধ্যেই ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। শুক্রবার গভীর রাতে যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে।
১০ বছর আগে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল আয়লা। তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের ধারে কাছে। ঝড়ের দাপটে দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন অঞ্চলে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। নদীবাধ ভেঙে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে, এ বার সব রকমের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে নবান্ন জানিয়েছে। ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রশাসন যথাসম্ভব চেষ্টা করে চলেছে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে। তার পাশাপাশি একটু সতর্ক যদি আমরা নিজেরাও হই, তা হলে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হবে অনেক সহজেই। কী সেই সতর্কতা?
আরও পড়ুন: আয়লা থেকে শিক্ষা নিয়ে ফণীর ঝাপটা সামলাতে প্রস্তুত প্রশাসন
ঘূর্ণিঝড়ের আগে, তাণ্ডব চলার মধ্যে এবং ঝড় থেমে যাওয়ার পর কী করবেন আর কী করা উচিত নয়, তা দেখে নিন
ঘূর্ণিঝড়ের আগে:
যথাসম্ভব নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। এই সময়ে অনেক গুজব রটে। সে সবে কান দেবেন না। লোকের মুখের কথা না শুনে শুধুমাত্র সরকারি বার্তায় বিশ্বাস রাখুন। ঝড়ে গাছ পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। তাই নিজের মোবাইল ফোন আগেই সম্পূর্ণ চার্জ দিয়ে রাখুন। বিপদের সময় যে কোনও মুহূর্তে মোবাইলের দরকার হতে পারে। পোষ্যদেরও বাড়ির ভিতর নিরাপদ স্থানে রেখে দিন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময়:
ঝড় শুরু হলে প্রথমেই বাড়ির ভিতরের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দিন। তা নাহলে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঘরের দরজা-জানলা ভাল করে বন্ধ রাখুন। পরিস্রুত জল খান। ঝড়ের সময় যদি রাস্তায় থাকেন, তা হলে যত দ্রুত সম্ভব কোনও সুরক্ষিত স্থানে আশ্রয় নিন। গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির নীচে দাঁড়াবেন না।
আরও পড়ুন: ‘প্রবল আতঙ্কে আছি, জানি না কী হবে, জগন্নাথই ভরসা’
ঘূর্ণিঝড়ের পর:
ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে এমন কোনও বাড়িতে আশ্রয় নেবেন না। ছিঁড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত দেবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy