Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Cyclone Dana

‘ল্যান্ডফল’ চলছে, স্থলভাগ অতিক্রম করছে ‘ডেনা’র শেষ অংশ, উপকূলে ঝড়ের তাণ্ডব, সঙ্গে চলছে বৃষ্টিও

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’ আছড়ে পড়ছে ওড়িশার উপকূলে। ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছ থেকে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের শেষ অংশ। ঝড় বইছে ১০০ কিলোমিটার বেগে।

Graphical Representation

ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ০১:০৭
Share: Save:

স্থলভাগে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’। ‘প্রবল’ আকারেই তার ‘ল্যান্ডফল’ হচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছ থেকে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের শেষ অংশ। ঝড় বইছে ১০০ কিলোমিটার বেগে।

রাত দেড়টা নাগাদ ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলবে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।‌

‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ঝড়ের দাপট আরও বেড়ে গিয়েছে ওড়িশায়। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তবে রাত পর্যন্ত কলকাতায় তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। ভোর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে শহরে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, ‘ডেনা’র প্রভাবে কলকাতায় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতায় রাত পর্যন্ত তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। মাঝেমাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে শহরে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে অবশ্য রাতেও ঝড়বৃষ্টি চলছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এই ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সে কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই দিঘা, মন্দারমণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলি খালি করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকশূন্য করা হয়েছে দিঘা। স্থানীয়দের উপকূল এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস ছিল, ‘ডেনা’র প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বিপুল জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে ৯ ফুট থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। সেই অনুযায়ী উপকূলের বাসিন্দাদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রামেও। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কতা রয়েছে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে। দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি চলবে শনিবারও।

অন্য বিষয়গুলি:

Cyclone Dana Cyclone Odisha West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy