ফোন করে প্রৌঢ়কে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর চেষ্টা। প্রতীকী ছবি।
‘বাবা আমাকে বাঁচাও’!
অপরিচিত নম্বর থেকে আসা ফোনটা ধরতেই চমকে উঠেছিলেন রাজস্থানের ব্যবসায়ী রামাবতার। ফোনের ও পারে কান্নাকাটি করছেন এক যুবক। আর তাঁকে বার বার বাবা বলে সম্বোধন করছিলেন। হুবহু তাঁর পুত্রের কণ্ঠস্বর। বিচলিত হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। কারণ দিন দুয়েক আগেই তাঁর পুত্র কাশ্মীরে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ওই আর্তি শুনে তিনি ভেবেছিলেন পুত্র কোনও বিপদে পড়েছেন।
তার পর একটা ধমক শুনতে পান ব্যবসায়ী। ফোনের ও পারে কাউকে ধমকানো হচ্ছিল। তার পরই ব্যবসায়ী এক গুরুগম্ভীর কণ্ঠ শুনতে পান। নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘অপহরণের মামলায় আপনার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদি জেল খাটতে না হয়, তা হলে এখনই টাকা পাঠান।’’ তার পরই তিন লক্ষ টাকা পাঠাতে বলা হয়।
পুত্র বিপদে পড়েছে ভেবে তিনি দিশাহারা হয়ে পড়েন। প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি বলেন। তখন সেই প্রতিবেশী রামাবতারের ফোন নেন। হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বর এবং প্রোফাইল ছবি ভাল করে পরীক্ষা করেন। তখনই তিনি বুঝতে পারেন, এ কোনও প্রতারকদের কাজ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রামাবতারকে সতর্ক করে দেন। সঙ্গে পরামর্শ দেন পুত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। প্রতিবেশীর পরামর্শে পুত্রকে ফোন করেন রামাবতার। পুত্র জানান, তিনি কাশ্মীরেই আছেন এবং তাঁর কোনও বিপদ হয়নি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেনি। এ কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন রামাবতার। প্রতারকরা আবার ফোন করেন। কিন্তু রামাবতার সেই ‘পুলিশ’কে জানান, তাঁর সঙ্গে ফোনে কনফারেন্স কলে রয়েছে পুলিশ। পুলিশের কথা শুনেই প্রতারক ‘পুলিশ’ সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy